|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শিরোপায় একহাত আগেই দিয়ে রেখেছিল আবাহনী লিমিটেড। ফলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের লড়াইটা ছিল রানার্স-আপের। এমন ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৫৫ রান তোলে মোহামেডান। জবাবে মার্শাল আইয়ুব ও আকবর আলির ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে শাইনপুকুর। কিন্তু আবু হায়দার রনি ও মুশফিক হাসানের বোলিং তোপে শেষ দিকে খেই হারিয়ে বসে দলটি। ফলে ৮ রানের জয়ে রানার্স-আপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেল মোহামেডান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার জিসান আলম রান আউটে কাটা পরেন। পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই অমিত হাসানকে ফেরান মুশফিক। ফলে দলীয় রানের দুই উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার খালেদ হাসান ও আইয়ুব। এ সময় ৯২ রানের জুটি গড়েন দুজন।
মোহামেডানের বিপদ বাড়ানো এই জুটি ভাঙেন রনি। হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা খালেদ এই পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিলে ৪৮ রানে ফিরতে হয়। এই ব্যাটার ব্যর্থ হলেও ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলেনেন আইয়ুব। এরপর আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন তিনি। কিন্তু মুশফিকের বলে ক্যাচ তুলে দিলে ৭০ রানেই থামতে হয় তাকে।
এরপর দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান অধিনায়ক আকবর আলি। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৩৮ রান করা শুক্কুরকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মিরাজ। এরপর মেহরব হাসানকে নিয়ে ফের দলের হাল ধরেন আকবর। করেন ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি। তাদের ব্যাটে করেই শেষ ১৮ বলে ২৩ রানের সহজ সমীকরণ পায় শাইনপুকুর। কিন্তু রনি ও মুশফিকের তোপে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি দলটি।
ম্যাচের ৪৮ তম ওভারে ১৩ রান করা মেহরবকে ফেরান রনি। পরের ওভারে ৪ রান করে রান আউট হন হাসান মুরাদ। একবল পর এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গেলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে বসেন আকবর। ৬১ রানে এই ব্যাটার ফিরলে বাকি কাজটা করেন রনি। শেষ ওভারে আরাফাত সানি ও নাহিদ রানাকে বোল্ড করে জয় নিশ্চিত করে। দলের হয়ে রনি ৪টি ও মুশফিক ৩ উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ পেয়েছেন একটি।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা বাজেভাবেই হয় মোহামেডানের। দলীয় ৭০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। এ সময় দলের হাল ধরেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের ৯৩ রানের জুটিতে দলের সংগ্রহ দেড়শ পার করে। এদিন দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
মিরাজ ফিরেছেন ৭৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে। এরপর ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু আরাফাতের বলে কাউ কর্ণারে ক্যাচ তুলে দিলে ৫৬ রানেই ফেরেন তিনি। সবশেষ আরিফুল হকের ৪১ ও নাসুম আহমেদের ১৬ রানের ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় মোহামেডান। শাইনপুকুরের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন আরাফাত। নাহিদ রানা ও নাইম আহমেদ পেয়েছেন দুটি করে।