|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সুপার লিগের শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট অ্যাকাডেমির। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল আবাহনী ও মোহামেডানের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। ফলে তৃতীয় ম্যাচে হয় পেতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে চেপে ধরেন প্রাইমের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও রেজাউর রাজা। তাদের তোপেই ১৮১ রানে গুঁটিয়ে যায় দলটি। জবাবে ব্যাট করতে তামিম ইকবাল খেলেন ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। এরপর মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৭ উইকেটের বড় জয় পায় দলটি।
এদিন তামিমের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন শাহাদাত হোসেন দীপু। জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলতে পারভেজ হোসেন ইমন চলে যাওয়ায় ওপেনিংয়ে সুযোগ আসে তার। শুরুটাও বেশ ভালো করেছিলেন। উদ্বোধনি জুটিতেই পঞ্চাশ রান তোলে এই জুটি। এরপর ১১ তম ওভারে আব্দুল গফফারের বল শর্ট মিডে ঠেলে দিয়ে একরানের জন্য দীপুকে ডাক দেন তামিম। এরপর আবার তাকে ফিরে যেতে বলেন।
ততক্ষণে হাবিবুর রহমানের সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙলে ১৬ রান করেই ফিরতে হয় দীপুকে। পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক জাকির হাসানকে ফেরান শেখ পারভেজ জীবন। এই স্পিনারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গেলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের পথ দেখান অভিজ্ঞ মুশফিক ও তামিম।
মৌসুম জুড়েই ছন্দে থাকা তামিম এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৫৭ বলে। জীবনের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরে পঞ্চাশ করেন তিনি। হাটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ছন্দে থাকা এই ব্যাটারকে থামান মইন খান। এই স্পিনারের শর্ট বল মিড অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গেলে মেহেদি মারুফের তালুবন্দি হন। দুই ছক্কা ও ১০ চারে ৭৬ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
দুজনের ৭২ রানের জুটি ভাঙলেও প্রাইমের জয় ঠেকাতে পারেনি গাজী গ্রুপ। এদিন ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। তাকে সঙ্গ দিতে থাকা মোহাম্মদ মিথুন এদিন অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। দুই ছক্কা ও ৪ চারে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৫৫ বলে ৫৯ রানে। তাতেই দলটির জয় নিশ্চিত হয়। গাজীর হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন জীবন ও মইন।
এই ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে গাজী। এদিন শুরু থেকেই দলটি চেপে ধরেন প্রাইমের বোলাররা। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ৫ রান করা আনিসুল ইসলামে ক্যাচের ফাঁদে ফেলেন হাসান। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মেহেদি মারুফ ও হাবিবুর রহমান। কিন্তু ২০ রান করা হাবিবুরও ফেরেন হাসানের বলে।
এরপর দলটির ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামলে দলীয় ৯৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। কিন্তু মিডল অর্ডারে মইন ও গফফার দলের হাল ধরলে। দেড়শ পার করে গাজী। কিন্তু ৩৯ রান করা গফফার শিকার হন রাজার। এরপর আর কোনো ব্যাটার মইনকে সঙ্গ দিরে পারেননি। সবশেষ এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। প্রাইমের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান ও রাজা। নাজমুল অপু ও সানজামুল নিয়েছেন দুটি করে।