ডিপিএল

১৭১ রানের জয়ে শিরোপার আরো কাছে আবাহনী

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:25 বৃহস্পতিবার, 25 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মৌসুমে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত খালেদ মাহমুদ সুজনের আবাহনী লিমিটেড। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দলটি। ফলে একটি মাত্র ম্যাচ জিতলেই শিরোপা ঘরে তুলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কারণ শেষ ৩ ম্যাচ জিতলেও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৬। শিরোপা ধরে রাখতে এদিন দলটির কাজ সহজ করে দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ১০১ রানে ইনিংসেই ৩৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দলটি। জবাবে ১৭২ রানেই গুঁটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। ফলে ১৭১ রানে বড় জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আবাহনী। এদিন দলটির দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাইম শেখ দেখেশুনে রান তুলতে থাকেন। ফলে তাদের জুটিতে দলটি পঞ্চাশ রান পার করে। এর খানিক বাদেই শেখ পারভেজ জীবন ভাঙেন এই জুটি। এই স্পিনারের বলে সামনে এসে খেলতে গেলে থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ৩৩ রানে ফেরেন তিনি।

এরপর জীবনের স্পিন ফাঁদে পরেন আরেক ওপেনার লিটন। সামনে এসে খেলতে গেলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ৩৩ রান করে। ৬৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত ও এনামুল হক বিজয়। তাদের ব্যাটে করেই রানের চাকা সচল থাকে আবাহনীর। এ সময় দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। এদিন মাত্র ৩২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বিজয়। শান্তর খেলতে হয়েছে ৬১ বল।

দুই ব্যাটারের ১৩০ রানের জুটিতে আবাহনীর সংগ্রহ যখন দুইশ ছুঁই ছুঁই, তখন ৬৮ রান করা বিজয়কে ফেরান ফয়সাল আহমেদ। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের হালকা জায়গা করে খেলতে গেলে থার্ডম্যানে থাকা পিনাক ঘোষের কাছে ক্যাচ তুলে দেন বিজয়। ইনিংস জুড়ে ৫টি ছক্কা ও ৪টি চারের মার ছিল তার। বিজয় ফিরলেও দলের হয়ে রান তুলতে থাকেন শান্তর। এদিন ৮২ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

অবশ্য তাকে আর ইনিংস বড় করতে দেননি জীবন। এই স্পিনারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১০১ রানেই থামতে হয় শান্তকে। ৬ ছক্কা ও ৮ চারে সাজানো ছিল তার এই ইনিংস। এদিন রুয়েল মিয়াকে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কা মেরে ৩৫ হাফ সেঞ্চুরি করেন তৌহিদ হৃদয়। সবশেষ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৩ রান ও রিদয় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকলে বড় পুঁজি পায় দলটি। গাজী গ্রুপের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ দুই উইকেটে নেন পারভেজ জীবন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে গাজী গ্রুপ। দলীয় ৯৬ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝে এদিন উইকেটে থিতু হয়েছিলেন সাব্বির হোসেন শিকদার। এ সময় মইন খানকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ১৪ রান করা মইনকে ফিরিয়ে আবারও দলটির বিপর্যয় ডেকে আনেন তানজিম হাসান সাকিব।

এ সময় ৬২ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। কিন্তু এদিন আর কোন ব্যাটই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে না পারলে ১৭২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সবশেষ লড়াই করতে থাকা সাব্বির ফিরলে থাকে গাজীর লড়াই। তানভিরের ঝুলিয়ে দেয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে গ্লাবস বন্দি হন সাব্বির। শেষ হয় তার ৬২ রানের লড়াকু ইনিংস। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও মোসাদ্দেক।