|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপমাত্রা, গরমে জীবন হয়ে দাঁড়িয়েছে অসহনীয়। আর সেটাকে সঙ্গী করেই এদিন ব্যাট হাতে দারুণ লড়াই করেছেন শেখ জামাল স্পোর্টিং ক্লাবের দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান। দুজনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৫৯ রানের পুঁজি পায় দলটি। কিন্তু তাদের লড়াইকে ম্লান করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অঙ্কন সেঞ্চুরি করে ফিরলেও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
জামালের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগেভাগেই ফিরেছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। রিপন মন্ডলের বলে ২০ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা রনি তালুকদার ৪১ ও ৮ রান করা রুবেল মিয়া ফিরলে ৬৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। কিন্তু গরমকে হার মানিয়ে ৩৮ বছর বয়সী রিয়াদ ও তরুণ ক্রিকেটার অঙ্কন গড়েন ১৮৯ রানের জুটি।
এদিন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটার অঙ্কন হাফ সেঞ্চুরি করেন ৭৬ বলে। এর আগে মৌসুমে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করলেও সেঞ্চুরির দেখ পাননি তিনি। কিন্তু এদিন সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন। রবিউল ইসলামের বলে একরান নিয়ে নিজের ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন। কিন্তু ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ১০১ রানের এই ইনিংস থামে শফিকুল ইসলামের গুড লেংথ ডেলিভারিতে লং অফে ক্যাচ তুলে দিলে।
এর আগে ৬১ বলে মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। অঙ্কন ফেরার পর দলের বাকি কাজটা তিনিই সারেন। সবশেষ ৮৮ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংস জুড়ে ছিল তিনটি করে ছক্কা ও চারের মার। আরিফুল হক অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে। তাতেই দলটির ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়। জামালের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন রিপন।
এদিন ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে জামাল। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই নাসুম আহমেদের করা লাইনের বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন একরান করা সৈকত আলি। এরপর সাইফ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি উইকেটে থিতু হয়ে থাকলেও রান তুলেন ধীরগতিতে। সেটাই যেনো চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের।
ম্যাচের ১৩ তম ওভারে রান বের করার চেষ্টা করতে গেলে রান আউটে কাটা পরেন ১৭ রান করা ফজলে মাহমুদ। এই ধাক্কা সামাল দিতে বেশ চাপে পরেন সাইফ ও তাইবুর রহমান। প্রথম ৫ ওভারে তারা তুলেছিলেন মাত্র ৪ রান। তবে ফতুল্লার তীব্র গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া দুই ব্যাটার এদিন দলের পরিস্থিতির সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছিলেন। ফলে তাদের ব্যাটে করেই বড় সংগ্রহের পথে হাটতে থাকে জামাল।
এদিন ৮৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাইফ। এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকা তাইবুরও ৭৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। এই জুটি যখন দুশ ছুঁই ছুঁই, তখনি ১৩৮ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাইফ। একটু পর তাইবুরও ১১২ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান। কিন্তু তাদের ২১৮ রানের এই জুটি থামে অতিরিক্ত গরমে সাইফ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে। সবশেষ তাইবুর অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। মোহামেডানের হয়ে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন নাসুম।