|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শিরোপার দৌড়ে আরও এক কদম এগিয়ে গেল আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল। গ্রুপ পর্বের ১১ ম্যাচসহ সুপার লিগের এই ম্যাচ দিয়ে টানা ১২ ম্যাচ জিতল আবাহনী।
এদিন জয়ের জন্য আবাহনীকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় প্রাইম ব্যাংক। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেন আবাহনীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লে পার করার চেষ্টায় ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ৩৫ রানে অবশ্য ৩২ বলে ২২ রান করা বিজয়কে বিদায় করেন সানজামুল। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।
এই জুটিতে দলীয় ১০০'র পথে হাঁটতে থাকে দলটি। ২৭ বলে ২২ রান করা শান্ত দলীয় ৮৭ রানে ফিরে যান শেখ মেহেদিকে উইকেট দিয়ে। এরপর চারে নামা আফিফ হোসেন ফিরে যান দলীয় ৯৭ রানে। তবে ৫ নম্বরে নেমে তৌহিদ হৃদয় ও লিটন মিলে আবাহনীকে জয়ের পথে নিতে থাকেন। লিটনকে দর্শক বানিয়ে ছক্কা-চারের মিশেলে হৃদয় ঝড় তুলেন প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর।
২৩ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। লিটনও ছুঁয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে ২৭ বলে ৫৫ রান করে হৃদয় বিদায় নেনে নাজমুল হোসেন অপুকে উইকেট দিয়ে। ৫ ছক্কা ও ৪ চারে হৃদয় করেন ২৭ বলে ৫৫ রান। এরপর জাকের আলী অনিককে নিয়ে আবাহনীকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে থাকেন লিটন। তবে জয়ের কাছে গিয়ে বাড়তি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে সানজামুলকে উইকেট ছুঁড়ে দেন জাকের।
তানভীর ইসলামকে নিয়ে এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি লিটন। ৫ উইকেটে জিতে চলতি আসরে টানা ১২তম জয় তুলে নেয় আবাহনী। ৩৮.৩ বলে জয়ের বন্দরে পৌছায় আবাহনী। লিটন অপরাজিত থাকেন ১০৬ বলে ৫৬ রান করে। আগে ব্যাটিং করে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের তোপের মুখে দলীয় ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক।
১০ বলে ১ রান করেন তামিম। ০ রানে আউট হন পারভেজ হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন দিপু করেন ৪ রান। ৫ রানে ৩ উইকেট হারানো প্রাইম ব্যাংকের হয়ে হাল ধরেন জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে ১০০'র পথে হাঁটতে থাকে প্রাইম ব্যাংক। তবে দলকে ১০০ পার করিয়ে ১১৭ রানে ৪৪ রান করা মুশফিক ফিরে যান তানভীর ইসলামকে উইকেট দিয়ে।
হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও সঙ্গী হারিয়ে জাকিরও টিকতে পারেননি ক্রিজে। সাইফউদ্দিনকে উইকেট দিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার বিদায় নেন ৭০ বলে ৬৮ রানে। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও শেখ মেহেদি দ্রুত বিদায় নিলে ১৫০'র আগে অল আউট হওয়ার শঙ্কা জাগে প্রাইম ব্যাংকের।
সেখান থেকে হাসান মাহমুদের চেষ্টায় দলীয় ১৫০ পার করে প্রাইম ব্যাংক। তবে ৩৯.৩ ওভারেই ১৭৮ রানে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেয় আবাহনীর বোলাররা। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন, মোসাদ্দেক ও তানভীর।