|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রিশাদ হোসেনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে সুপার লিগে শুভসূচনা করেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ব্যাট হাতে ৩৩ রানের পাশাপাশি বল হাতেও চার উইকেট নেন এই লেগস্পিনার। লো স্কোরিং এই ম্যাচে ১৩ রানে জিতেছে আকবর আলীর দল। মাত্র ১৩৮ রানের পুঁজি নিয়েই ম্যাচটি জিতেছে শাইনপুকুর।
সল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শাইনপুকুরের স্পিনারদের সম্মিলিত আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে গাজী গ্রুপ। মাঝে হাবিবুর রহমান সোহানের ইনিংস কিছুটা স্বস্তি দিলেও যাওয়া আসার মাঝেই থাকেন দলটির ব্যাটাররা। দলীয় ৫২ রানের মধ্যে দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ এবং আনিসুল ইসলামকে ফেরান আরাফাত সানি।
তারপর ১৯ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হাবিবুর রহমান সোহান। তাকে বিদায় করেন রিশাদ হোসেন। স্পিনারকে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে কভারে ধরা পড়েন সোহান। ৮৩ রানে তার উইকেট হারানোর পর ৯৪ রানের মধ্যে প্রীতম কুমার, মইন খান এবং সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় দলটি।
এই তিনজনকেই ফেরান রিশাদ। ৯৪ রানে ছয় উইকেট হারানো দলটি ২৭.৪ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। মাত্র ৩১ রান খরচায় চার উইকেট নেন রিশাদ। ৪৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন আরাফাত।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই মনমতো হয়নি শাইনপুকুরের। মাত্র চতুর্থ ওভারেই জিশান আলমের উইকেট হারিয়েছে দলটি। ৯ বলে ৭ রান করা এই ওপেনার শেখ পারভেজ জীবনকে ফ্লিক করত গিয়ে থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে গেছেন।
তারপর খালিদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সেটি বেশীক্ষণ কাজে আসেনি। ১৭ ওভারে ফিরে যান খালিদও। আব্দুল গাফফার সাকলাইনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষকের মুঠোয় ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ৩৯ বলে ৯ রান করা খালিদ।
দলীয় ৬৭ রানের মধ্যে তানজিদের উইকেটও হারায় দলটি। হুসনা হাবিব মেহেদীর ঘূর্ণিতে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তোলা এই ওপেনার করেন ৫১ বলে ৪২ রান। তারপর মার্শাল আইয়ুব ৮, ইরফান শুক্কুর ৯ এবং আরাফাত সানি ৬ রানে ফিরে যান।
শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ২৬ বলে ৩৩ এবং মুকিদুল মুগ্ধর ৯ বলে ১ রানের ইনিংসে দেড়শ'র কাছাকাছি যায় দলটি। ৩৪.৫ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয় আকবর আলীর দল। গাজী গ্রুপের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন আব্দুল গাফফার এবং মেহেদী। দুটি উইকেট নেন জীবন।