|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মৌসুমের শেষ রাউন্ডে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পরাজিত হলে সুপার লিগ প্রায় লিগ নিশ্চিত হয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের। এদিন সিটি ক্লাবের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেই কেবল বাদ পরার শঙ্কা ছিলো তাদের। কিন্তু সেই পরিসংখানেই যেতে হয়নি তাদের। এদিন রুয়েল মিয়ারাদের বোলিংয়ে মাত্র ১৮০ রানেই গুঁটিয়ে যায় সিটি ক্লাব। জবাবে আনিসুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের ১৩১ রানে জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত হাবিবুর সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকলে ৮ উইকেটের জয় পায় দলটি।
ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি গাজী গ্রুপের। দলটির অধিনায়ক মেহেদি মারুফ এদিন ফিরেছেন মাত্র ১৩ রান করে। তাকে ফেরান মইনুল ইসলাম। এই স্পিনারের লাইনের বলে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন মারুফ। সেই বল মিস করলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরেন তিনি। অবশ্য সেই ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন আনিসুল ও হাবিবুর।
এই দুজনের ব্যাটে করেই জয়ের পথে হাটতে থাকে দলটি। এ সময় ৪০ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আনিসুল। এরপর নাইমুর রহমান নয়নকে মিড উইকেটে ছক্কা মেরে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলেনেন হাবিবুর। কিন্তু দলীয় ১৫৩ রানে তাদের জুটি ভাঙেন মইনুল। সাজঘরে ফেরার আগে ৫০ বলে ৬১ রান করেন আনিসুল। এক ছক্কা ও ১০ চারে এই ইনিংস সাজান তিনি।
গাজী গ্রুপের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৮ রান। এদিকে উইকেটে থাকা হাবিবুরের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল ২৬ রান। পরের ১৩ বলেই সেই কাজটা করেছেন হাবিবুর। নয়নের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারলে ৮১ বলে সেঞ্চুরি দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৬ ছক্কা ও ১০ চার। সিটি ক্লাবের হয়ে এদিন দুটি উইকেটই পেয়েছেন মইনুল।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিটি ক্লাব। এদিন শুরুতেই ওপেনার সাদিকুর রহমান ফেরেন মাহফুজুর রাব্বি। ২ রান করেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর অধিনায়ক শাহরিয়ার কমলকে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন হাসান। কিন্তু আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা কমল এদিন ব্যর্থ হয়েছেন ইনিংস বড় করতে।
আব্দুল গাফফার সাকলাইনের শর্ট বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিলে ১১ রানেই থামতে হয় কমলকে। এদিন কিছুটা আক্রমণাত্মক ছিলেন হাসান। ২৮ বলে ২৯ রান করে হাফ সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু এই ব্যাটারকেও সাজঘরে ফেরান সাকলাইন। এই পেসারের স্লো ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গেলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
এরপর আশিকুল আলম নাইম ১৮, রায়ান রাফসান ২৫ ও সাজ্জাদুল হক ১৫ রান করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিটি ক্লাব এদিন আরো কম রানেই অলআউট হতে পারত। কিন্তু মিডল অর্ডারে এদিন ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলের রান বাড়ান রাফসান আল মাহমুদ। এছাড়া আর কোনো ব্যাটার দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হলে ১৮০ রানে থামে দলটি। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রুয়েল।