|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের জার্সিতে নেই ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলে ফিরতে পারেন এমন ক্রিকেটারদের পুলেও নেই বাঁহাতি এই ওপেনার। বাংলাদেশ দলের আশেপাশে না থাকলেও বিপিএল, ডিপিএল, এনসিএল কিং বিসিএলে নিয়মিতই খেলছেন ইমরুল। ব্যাট হাতে পারফর্মও করছেন দলের প্রয়োজনে। তবে জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে একদমই ভাবছেন না তিনি। বরং ইমরুলের পুরো মনোযোগ ঘরোয়া ক্রিকেট ঘিরে।
২০১৯ সালে ভারতের সফরে বাংলাদেশের হয়ে দুই টেস্টের চার ইনিংসে মাত্র ১৯ রান করেছিলেন ইমরুল। এমন পারফরম্যান্সের পর বাঁহাতি এই ব্যাটারকে বাদ দিতে খুব বেশি ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের। বাংলাদেশের হয়ে ইমরুল ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৮ সালে, ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আগের সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দুটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৪ এবং ০ রানে আউট হওয়ায় জায়গা হারাতে হয় জাতীয় দল থেকে। এদিকে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রাথমিক দলে ডাকা হয়েছিল ইমরুলকে। তবে চূড়ান্ত স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া হয়নি তার। জাতীয় দলে কখনই ‘প্রথম পছন্দ’ না হওয়া ইমরুল এবারের ডিপিএলে খেলছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। ঐহিত্যবাহী ক্লাবটির নেতৃত্বেও আছেন তিনিই।
মোহামেডানের হয়ে গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ খেলা ইমরুল ১১ ইনিংসে ৩৪.৪৪ গড়ে করেছেন ৩১০ রান। ডিপিএলের এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি রান তোলা ব্যাটারদের তালিকায় আছেন ১৭ নম্বরে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৯২ রান করে মোহামেডানকে জেতানোর পর জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে ভাবনার কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল ইমরুলের কাছে। বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘এখানে খেলতেছি, এখানে খেলতে দেন না। জাতীয় দল দেখা যাবে ওইটা পরেরটা।’
দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন ইমরুল। তবে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে নিজের ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। যদিও সবশেষ দুটি ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৫৬ রান করা ইমরুল ব্রাদার্সের বিপক্ষে খেলেছেন ৭১ বলে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস। পুরো ডিপিএলে নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি জানান, সবসময় ভালো খেলা যায় না।
ইমরুল বলেন, ‘ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জীবনটাই এমন আপনি সবসময় ভালো খেলবেন না, উত্থান-পতন থাকবে। আমার মনেহয় ঈদের যে খেলাগুলো খেলে গেছি, হ্যাঁ দুই-একটা ম্যাচে রান হয় নাই চাপে পড়ে গেছিলাম। তারপর একটা বিরতি হয়েছিল বিরতির পর আবার নতুন করে চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হয়েছে। আবার নতুন করে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি কোচের সাথে। ওই জায়গায় আমার সহায়তা হয়েছে, এজন্য হয়ত রান করছি।’
গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ জিতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে রয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে রয়েছে শাইনপুকুর। সমান ১৬ পয়েন্ট হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় মোহামেডানের অবস্থান তিনে। সুপার লিগে আরও পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায় রানার্স আপে চোখ রাখছেন ইমরুল।
তিনি বলেন, ‘আমি তো বললাম রানার্স আপ, এখন তো কোন অপশন নেই। আবাহনী সবার থেকে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। আমার মনে হয় রানার্স আপে আমাদের ভালো একটা সুযোগ আছে। আমরা যদি ভালোভাবে শেষ করতে পারি একটা সুযোগ আছে।’