|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অন্যান্য দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে থাকে না। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রতিবারই প্রশ্নবোধক চিহেৃর উদয় হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই ভরাডুবির পর আরও একবার প্রশ্ন উঠল দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে। মুমিনুল হক সোজাসাপ্টাই বলছেন, ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিকের সঙ্গে মানের ফারাকটা অনেক।
কদিন আগে রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার কারণে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে জায়গা হারান শ্রেয়াস আইয়ার এবং ইশান কিশান। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঘরোয়াতে খেলার বাধ্যবাধকতা নেই ক্রিকেটারদের। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের কেউই নিয়মিত খেলেন না জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল)।
যার ফলে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো মানের তারকাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পান না। অন্যান্য দেশে যেখানে ঘরোয়াতে ৪-৫ বছর খেললেই জাতীয় দলের জন্য পাকাপোক্ত হয়ে আসেন। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পাকাপোক্ত হন জাতীয় দলে এসে। কারণ এনসিএল, বিসিএলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো চ্যালেঞ্জ থাকে না বলে জানান মুমিনুল।
ঘরোয়ার চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে, শুনতেও খারাপ লাগতে পারে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা এবং আন্তর্জাতিকের খেলা অনেক ভিন্ন ভাই। আকাশ পাতাল তফাত ভাই। আপনারাও জানেন আমিও জানি সবাই জানে। আমি নিজেও তো জাতীয় লিগ খেলি আমি নিজেও কখনও চ্যালেঞ্জ ফেইস করি না। এখানে আন্তর্জাতিকে যেমন চাপ মোকাবেলা করতে হয়। আমি সততার সাথে কথাগুলো বলতেসি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, আমি আর অন্য আরেকটা জুনিয়র ক্রিকেটারের মধ্যে তফাত আছে। আমি আজকেসহ ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। আমি অনেক খেলার কারণে হয়ত বুঝি কখন কী করতে হবে কীভাবে করতে হবে। কখনও হয়ত কাজে লাগাতে পারি কখনও পারি না।’
সাকিব-মুশফিকরা ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললেও তরুণরা ঠিকই এনসিএল, বিসিএলে নিয়মিত পাওয়া যায় তরুণদের। সবশেষ কয়েক বছরে এনসিএল, বিসিএলে খেলছেন জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান, সাদমান ইসলাম এবং শাহাদাত হোসেন দিপুরা। অনেকের টেস্টের প্রতি আগ্রহের কমতি থাকলেও তরুণদের মাঝে সাদা পোশাকের প্রতি ভালোবাসা দেখছেন মুমিনুল।
তিনি বলেন, ‘এখন যারা আছে, সবাই টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত। সত্যি কথা বলি, ফল না এলে অনেক কিছুই মনে হয়। কিন্তু এখন যে তরুণ দলটা আছে, তাদের টেস্ট খেলার প্রতি খুবই আগ্রহ, খুবই নিবেদিত। যারা আছে, সবাই জাতীয় লিগে নিয়মিত খেলে।’