|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টিপু সুলতানের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বলে কাভারে ঠেলে দিয়ে দৌড় দিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তরুণ এই ব্যাটারের ডাকে সাড়া দিয়ে দৌড়ালেন জাকির হাসানও। তবে দ্রুততার সঙ্গে থ্রো করে সরাসরি স্টাম্প ভাঙলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ক্রিজে পৌঁছানোর জন্য জাকির ড্রাইভ দিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে একরাশ হতাশা আর আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন জাকির।
তরুণ এই ব্যাটারকে হতাশ করলেও হতাশা করা যায়নি ইস্ট জোনকে। জাকির যখন ৯৯ রান করে ফেরেন তখন জয়ের জন্য ইস্ট জোনের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ রান। ১১ ওভার বাকি রেখে অনায়াসে জয় তুলে নেয় তারা। সাউথ জোনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিসিএলের ফাইনালে উঠে ইস্ট জোন। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নর্থ জোন।
২০৮ রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় ইস্ট জোন। দ্রুত রান তোলার প্রচেষ্টায় থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে ফিরিয়েছেন সুমন খান। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বলে স্লগ করতে চেয়েছিলেন পারভেজ হাসান। তবে এজ হয়ে ধরা পড়ে হয় ৩০ গজের মাঝে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন জাকির ও মাহমুদুল হাসান জয়। এই জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ইস্ট জোন। দারুণ ব্যাটিংয়ে তারা দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। জয়ের বিদায়ে ভাঙে তাদের দুজনের ১১১ রানের জুটি। ৫৪ রানের ইনিংস খেলা জয়ের উইকেট তুলে নেন টিপু সুলতান। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে হাসান মুরাদকে ক্যাচ দিয়েছেন জয়।
চারে নামা দিপুকে সঙ্গে নিয়ে ইস্ট জোনকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন জাকির। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির কাছে থাকলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। সেঞ্চুরি করতে না পারা আক্ষেপ নিয়ে ফেরা জাকির ৩ ছক্কা ১১ চারে খেলেছেন ৯৯ রানের ইনিংস। জাকির ফিরলেও ইস্ট জোনের জয় নিশ্চিত করেন ২৮ রান করা দিপু ও ৬ রান করা মুমিনুল হক।
আগের দুই ম্যাচের দুটিতেই হারায় ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণে ছিল সাউথ জোনের নাম। আগেভাগে বাদ পড়া সাউথ জোনকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইস্ট জোন। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে সাউথ জোনের টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তাদের কেউই। দলের রান একশ হওয়ার পরই ৩ উইকেট হারায় তারা।
নিউজিল্যান্ড থেকে ওয়ানডে সিরিজ খেলে ফেরা এনামুল হক বিজয় এদিন আউট হয়েছেন ১৯ রানে। কদিন আগে যুব এশিয়া কাপ জেতা ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলীর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রানের ইনিংস। তিনে নামা মিঠুনও ফিরেছেন ২৪ রানে। মার্শাল আইয়ুব ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে ২৭ রানের ইনিংস খেলে।
নুরুল হাসান সোহান, মইন খানরা ব্যর্থ হলেও ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ব্যাটে দুইশ পেরোয় সাউথ জোন। এদিন বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নাঈম হাসান। ৪ উইকেট নিতে ডানহাতি এই অফ স্পিনার খরচা করেছেন ৫৫ রান। এ ছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ।