|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আশিকুর রহমান শিবলী, মার্শাল আইয়ুব এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০৫ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছিল সাউথ জোন। তবে সেই পুঁজি যথেষ্ট ছিল না আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রীতম কুমারের দারুণ ব্যাটিংয়ের সামনে। তাদের দুজনের সেঞ্চুরিতে নুরুল হাসান সোহানদের সাউথ জোনকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নর্থ জোন।
কক্সবাজারের শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড দুইয়ে বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন নর্থ জোনের দুই ওপেনার। বিশেষ করে প্রথম ওভারে থেকেই সোহাগ গাজী, কামরুল ইসলাম রাব্বিদের ওপর চড়াও হয়েছেন হাবিবুর রহমান সোহান। তবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে হয় নর্থ জোনকে।
সোহাগ গাজীর অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন সোহান। তবে বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে যাওয়ার আগে এটি হাবিবুরের ব্যাট ছুঁয়ে যায়। দারুণ শুরু করা হাবিবুর সাজঘরে ফেরেন ১৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে। তিনে নামা অমিত হাসানকে সঙ্গে নিয়ে নর্থ জোনকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন মামুন। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
ডানহাতি এই পেসারের স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১০ রান করা অমিত। এরপর চারে নেমে প্রীতম দারুণভাবে সঙ্গে দিতে শুরু করলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান মামুন। তাকে সঙ্গ দেয়া প্রীতম পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৭ বলে। সময় যত বেড়েছে নর্থ জোনকে ততই জয়ের কাছে নিয়ে যান তারা দুজন।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরিও পেয়েছেন তরুণ এই দুই ক্রিকেটার। ১১৪ বলে সেঞ্চুরি করা মামুন শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১০০ রানের ইনিংস খেলে। আর ১০৮ বলে সেঞ্চুরি করা প্রীতম ফিরেছেন ১০৮ রানের ইনিংস খেলে। তারা দুজন ফিরলেও আটকানো যায়নি নর্থ জোনের জয়। আকবর আলী এবং তাইবুর রহমান মিলে তাদের ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩০৫ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছিল সাউথ জোন। তাদের হয়ে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দেক। এটিই তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এ ছাড়া আশিকুর ৬০, মার্শাল আইয়ুব ৬১, সোহান ৩৪ এবং সোহাগ গাজী খেলেছেন অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস। নর্থ জোনের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু।