|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ইনিংসেই খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান পেস আগুনে পুড়েছিলেন নর্থ জোনের ব্যাটাররা। বড় লিড নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়, আকবর আলীদের একাই উড়িয়ে দিয়েছেন খালেদ। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া ডানহাতি এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫০ রানে ৭ উইকেট। তাতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো ইস্ট জোন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে নর্থ জোনের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রিতম কুমার। আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ৪ রান যোগ করতেই উইকেট হারায় তারা। খালেদের অফ স্টাম্পে পড়া লেংথ ডেলিভারিতে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মামুনের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে।
ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি যেন বুঝেই উঠতে পারেননি মামুন। তাতে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরতে হয়ে ১৫ রানে। এরপর অবশ্য আকবরকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন প্রীতম। যদিও তাদের জুটিকে খুব বেশি হতে দেননি রেজাউর রহমান। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সলিড ডিফেন্সই করেছিলেন প্রীতম। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে থাকা ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে।
দারুণভাবে ক্যাচ লুফে নিলে প্রীতমকে ফিরতে হয় ৫৫ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে। সুবিধা করতে পারেনি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। খালেদের বলে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৯ রানে। থিতু হওয়া আকবর ফেরেন ৩৩ রানের ইনিংস। রেজাউর রহমানের বলে নর্থ জোনের অধিনায়ক বিদায় নিলে আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। খালেদের পেস আগুনে শেষের ব্যাটাররা কেউই লড়াই করতে পারেননি।
তাতে মাত্র ১৩২ রানে গুটিয়ে আকবরের নর্থ জোন। ইরফান শুক্কুরের ইস্ট জোন ইনিংস ও ১১২ রানে জিতে প্রথমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। বিসিএলে অবশ্য এর আগে চারবার রানার্স আপ হয়েছে ইস্ট জোন। তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পাওয়া ইস্ট জোন একটিতে ড্র করেছে। ২০ পয়েন্ট নিয়ে অন্য তিন দলকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
এদিকে আগের দিন ২ উইকেট নেয়া খালেদ এদিন নিয়েছেন আরও ৫টি। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তার শিকার ৫০ রানে ৭ উইকেট। পুরো ম্যাচে অবশ্য খালেদ নিয়েছেন ১১ উইকেট। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ২ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতেছেন ডানহাতি এই পেসার।