|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মইন খান লড়লেন একাই। সতীর্থদের সমর্থন না পেলেও এই ক্রিকেটারের চেষ্টায় সাউথজোন পায় ২০০ ঊর্ধ্ব পুঁজি। জবাবে নাইম ইসলামের দৃঢ়তায় ৩ উইকেটে ৫৫ রানে দিন শেষ করেছে সাউথজোন।
এ দিন টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট্রাল জোন। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পিনাক ঘোষের উইকেট হারিয়ে বসে সাউথজোন। রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হন এই ওপেনার। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা ফজলে রাব্বিকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন প্রান্তিক নাবিল।
শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দুজন মিলে দলকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৯ রানে আবু হায়দার রনির শিকার হয়ে ফেরেন নাবিল। এর খানিক পর চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ফিরে যান ৫ রানে। ৫০'র আগে ৩ উইকেট হারালেও ফজলে রাব্বি ও মার্শাল আইয়ুব মিলে হাল ধরার চেষ্টায় ছিলেন।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে অবশ্য বেশি দূর হাঁটতে পারেননি আইয়ুব। সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার হয়ে তিনি ফেরেন ১১ রানে। ফজলে রাব্বির এরপর নুরুল হাসানকে নিয়ে দলের রান নিয়ে যান ১০০ রানে। কিন্তু শুভাগত হোমের শিকার হয়ে বিদায় নেন হোম।
খানিক পর ৪৬ রানে ফজলে রাব্বিও ফেরেন হোমের ওভারে। তবে সেখান থেকে দলের পক্ষে লড়াই শুরু করেন মইন খান। নীচের ব্যাটারদের নিয়ে তিনি স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন। তবে বাকিরা এই ব্যাটারকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে না পারলেও সুমন খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি।
সুমন ও মইন মিলে যোগ করেন ৬৭ রান। সুমন ২৬ রানে ফিরে গেলে শেষ ব্যাটার হিসেবে ফিরে যান মইন। ১১০ বলে করেন ৭৫ রান। শহিদুল ইসলাম ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা সেন্ট্রালজোনের শুরুটা হয় নড়বড়ে। স্কোরবোর্ডে ২২ রান তুলতেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে বসে দলটি। ৮ রান করে বোল্ড হন নাইম শেখ, একই রানে ফেরেন আব্দুল মজিদও। তবে সাইফ হাসান ও নাইম ইসলাম দলের হয়ে হাল ধরেন।
এই দুজনের ব্যাটে দলীয় রান ৫০'র ঘরে পা রাখে। তবে নাইম হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাইফ ফিরে যান ১৪ রানে। এরপর আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৩ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে দিন শেষ করে সেন্ট্রাল জোন। নাইম ২২ ও তাইবুর অপরাজিত আছেন শূন্য রানে।