|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লম্বা সময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বড় রানের দেখা পাচ্ছিলেন না ইয়াসির আলী রাব্বি। হাফ সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের কোটায় পৌঁছানো যেন দুরূহ হয়ে উঠেছিল তার জন্য। অবশেষে ৩১ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ইয়াসির রাব্বি। চট্টগ্রামে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে খেলেছেন ১২০ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন তার সতীর্থ ইরফান শুক্কুর। তাদের দুজনের এমন সুখকর দিনে ৯ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৯ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সেন্ট্রাল জোন। শেষ জুটিতে রিপন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন মাহিদুল। তবে সৈয়দ খালেদ আহমেদের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধান তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
সীমানায় ধরা পড়লে ৯১ রানে ফিরে যেতে হয় মাহিদুলকে। ডানহাতি এই ব্যাটারের ৯ রানের আক্ষেপের দিনে ২৮০ রানে অল আউট হয়েছে সেন্ট্রাল জোন। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন খালেদ এবং স্পিনার নাঈম হাসান। ইষ্ট জোনের হয়ে তারা দুজনেই নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি ও নাসুম আহমেদ।
সেন্ট্রাল জোনের ২৮০ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ইষ্ট জোন। আবু হায়দার রনির গুড লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পের বাইরের গিয়ে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন সৈকত আলী। ব্যাটের কানায় লেগে বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে গেলে ৬ রানে ফিরতে হয় তাকে। তিনে নামা অমিত হাসান করতে পারেননি ৪ রানের বেশি।
রিপনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন অমিত। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমনও। নাজমুল ইসলাম অপুরে বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৯ রান করা এই ব্যাটার। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি শামসুর রহমান শুভ, শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা।
৭০ রানে ৫ উইকেট হারালে দ্রুতই অল আউট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয় ইষ্ট জোনের। সেখান থেকে তাদের টেনে তুলেছেন ইয়াসির রাব্বি ও ইরফান। তারা দুজনে মিলে বিপদ কাটিয়ে ইষ্ট জোনকে এগিয়ে নিয়েছেন। ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ইয়াসির সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ১৫৬ বলে। এদিকে ইরফান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ১০৬ বলে। শেষ বিকেলে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন নাজমুল অপু।
বাঁহাতি এই স্পিনারের শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১২০ রানের ইনিংস খেলে। আউট হয়েছেন ৭ রান করা নাসুমও। তবে ৯১ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছেন ইরফান। দ্বিতীয় দিন শেষে ২৮ রানে পিছিয়ে থাকা ইষ্ট জোনের পুঁজি ৭ উইকেটে ২৫২ রান। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন নাজমুল অপু।