|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে খেলা জমিয়ে তোলার চেষ্টা করলেও সেটা নসাৎ করেছেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের সঙ্গে সাউথ জোনের ব্যাটিং ইউনিটকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। নাসুমের ৫ উইকেট ও রাজার তোপে ২৮২ রানে গুটিয়ে যায় সাউথ জোন। ১২০ রানের লিড নিয়ে খেলতে নেমে শেষ বিকেলে ১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে ইষ্ট জোন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনের ২ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে সাউথ জোন। আগের দিনের সঙ্গে ২৯ রান যোগ করে উইকেট হারায় তারা। ইষ্ট জোনকে এদিন প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম। হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়িয়েছেন মিঠুনকে। নাসুমের অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি।
ফলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় মিঠুনকে। ডানহাতি এই ব্যাটার না পারলেও ১৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ফজলে রাব্বি। এদিকে পাঁচে নেমে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব। রাজার অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ১২ রান করা মার্শালকে। কয়েক ওভারের ব্যবধানে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। রাজার অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল ভেতরে ঢুকতেই লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আফিফ ফিরেছেন ৪ রানে। মাত্র ৬ বল খেলা শেখ মেহেদীকেও আউট করেছেন রাজা। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
মেহেদী আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর মইন খানকে সঙ্গে নিয়ে সাউথ জোনকে এগিয়ে নিতে থাকেন ফজলে রাব্বি। হাফ সেঞ্চুরির আগে মইনকে ফিরিয়ে তাদের দুজনের ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম। বাঁহাতি এই স্পিনারের উইকেটের ওপর করা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা মইন।
ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরার কিছুক্ষণের মাঝেই আউট হয়েছেন ফজলে রাব্বি। নাসুমের স্লোয়ার ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৮১ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। শেষ দিকে তানভীর ইসলাম, আল আমিন হোসেনরা দ্রুত ফিরলে ২৮২ রানে অল আউট হয় সাউথ জোন। ইষ্ট জোনের হয়ে নাসুম ৫টি এবং রাজা নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
১২০ রানে এগিয়ে থেকে শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ইষ্ট জোন। এদিন ৫ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন সৈকত আলী, পারভেজ হোসেন ইমন এবং নাসুম। সাউথ জোনের হয়ে মেহেদী দুটি এবং আল আমিন নিয়েছেন একটি উইকেট।