|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে সেন্ট্রোল জোনকে একাই টেনেছিলেন নাঈম ইসলাম। সিলেটে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের মতো একই কাজ করলেন তাওহীদ হৃদয়। তরুণ এই ব্যাটারের ঝড়ো সেঞ্চুরির পরও দ্বিতীয় দিন শেষে ৪৫ রানে পিছিয়ে নর্থ জোন। লিড নেয়ার আশায় মুশফিক হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন ১৩২ রানে অপরাজিত থাকা হৃদয়।
সেন্ট্রাল জোনের ২৮১ রানের জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় নর্থ জোন। আবু হায়দার রনির অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ডেলিভারিতে কভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তানজিদ হাসান। ব্যাটের কানায় লাগায় বল চলে যায় উইকেটের পেছনে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের গ্লাভসে। ফলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় তরুণ এই ওপেনারকে।
তিনে নামা প্রিতম কুমারকেও ফিরিয়েছেন আবু হায়দার। বাঁহাতি এই পেসারের বলে শুভাগত হোম চৌধুরির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৭ রান করা এই ব্যাটার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার সাব্বির হোসেনও। শহিদুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে মাহিদুলকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাব্বির ফিরেছেন ১৯ রানের ইনিংস খেলে। তাতে মাত্র ২৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় নর্থ জোন।
এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন হৃদয়। তারা দুজনে মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাদের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি আরিফ আহমেদ। ৫৯ বল খেলা মামুন আউট হয়েছেন ১১ রানে। মামুন ফেরার পর শহিদুলের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন হৃদয়।
এদিকে দলের রান একশ হওয়ার আগে সাজঘরে ফিরেছেন আকবর আলী। শহিদুলের লাফিয়ে উঠা শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে মাহিদুলকে ক্যাচ দিয়েছেন ৬ রান করা এই ব্যাটার। এরপর হৃদয়কে সঙ্গ দিয়েছেন সাব্বির রহমান। তাদের ৬১ রানের জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১৪ রান করা সাব্বির।
দ্রুতই ফিরে গেছেন সানজামুল ইসলাম। এরপর রিশাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন হৃদয়। এদিকে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ঝোড়ো সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন হৃদয়। আনামুল হকের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে এক রান নিয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এরপর আরও দ্রুত তুলতে থাকেন এই ব্যাটার।
হৃদয়ের সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে রিশাদকে। আনামুলের বলে ফেরার আগে খেলেছেন ৪৬ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে নর্থ জোন। ১৩৮ বলে ১৩২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন হৃদয়।
এর আগে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা সেন্ট্রাল জোন থেমেছে ২৮১ রানে। রেকর্ড সেঞ্চুরি করা নাঈম ১২২ রানে ফিরে গেছেন। নর্থ জোনের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার, শহিদুল এবং শুভাগত হোম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আনামুল, আরিফ।