|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি তুষার ইমরানের দখলে। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) এবারের আসরে প্রথম ম্যাচেই দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সেই রেকর্ডের খুব কাছে পৌঁছে গেছেন নাঈম ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩০০ বলে ১০৭ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৯ বলে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন নাঈম। প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ৩১টি সেঞ্চুরি করলেন নাঈম। আর একটি মাত্র সেঞ্চুরি এগিয়ে আছেন তুষার। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ইস্ট জোনের বিপক্ষে নাঈমের নর্থ জোনের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৭৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল নর্থ জোন। জবাবে খেলতে নেমে ৪০৩ রান করে অল আউট হয় ইস্ট জোন। এরপর ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে ৩ উইকেটে ১৩৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে নর্থ জোন।
দিনের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলছিলেন নাঈম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ২৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম ঘণ্টাতেই প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। পঞ্চাশে পৌঁছাতে বিপ্লব খেলেন ৭৭ বল। রান আউট হয়ে ফিরলে তার সঙ্গে নাঈমের জুটি ভাঙে ৮৯ রানের।
এরপর বিপিএলে দারুণ সময় কাটানো নাসির হোসেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৬ রান, প্রথম সেশনের বাকি সময়টা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে পাড়ি দেন অভিজ্ঞ নাঈম। প্রথম সেশনেই ১২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন নাইম।
দ্বিতীয় সেশনে দারুণ খেলতে থাকা মাহিদুলকে আউট করেন তানভীর ইসলাম। নাঈমকে নিয়ে মাহিদুল যোগ করেছেন ৮০ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৯৪ বলে ৪৭ রান। শেষদিকে নেমে নাঈমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
তিনি আগ্রাসী ব্যাটিং করে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৫ বলে। খানিক বাদে ২৪০ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান নাঈম। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ব্যক্তিগত ৯০ রানে ইয়াসির আলী রাব্বির বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে আউট হন তিনি। এরপর দুই দলের অধিনায়ক মেনে নিলে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।