|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঢাকা টেস্টের প্রথম ঘণ্টা গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পকেটে। লাঞ্চের ঠিক আগে এক উইকেট তুলে নেয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে পায় আরও ৩টি সাফল্য। শেষ সেশনে এনক্রুমা বোনার লড়াই আবারও ভালো অবস্থানে নিয়ে যায় সফরকারীদের। দিন শেষে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের অপরাজিত ৭৪ রানের ওপর ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৩ রান। স্বাগতিকদের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম।
এদিন টস ভাগ্য যায়নি বাংলাদেশের পক্ষে। সেই সঙ্গে প্রথম সেশনেও সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানদের ওপর বড় ধরণের কোনো চাও সৃষ্টি করে পারেননি বোলাররা। প্রথম ঘণ্টা উইকেট শুন্য পার করলেও লাঞ্চ বিরতির আগে তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন জন ক্যাম্পবেল। ৩৬ রানে লেগ বিফরের ফাঁদে পরেন তিনি। এরপর ব্রাথওয়েট এবং শেন মসলে মিলে দলকে লাঞ্চ বিরতিতে নিয়ে যান।
লাঞ্চের পর ব্যাট করতে নেমে আবু জায়েদ রাহির অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলকে তাড়া করতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন মসলি। ৭ রানে তিনি ফেরার পর বোলিংয়ে এসে ব্রাথওয়েটকে প্যাভিলিয়নে পাঠান সৌম্য সরকার। ৪৭ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
খানিক পর আগের টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান কাইল মায়ার্সকে দ্রুত বিদায় করেন আবু জায়েদ। তিনিও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ৪ উইকেট হারালেও নক্রমা বোনার এবং জারমেইন ব্ল্যাকউড মিলে হাল ধরে চা বিরতিতে যান।
বিরতির পর ফিরে খানিকটা ধীরগতিতেই খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে এক লাইনে নিয়মিত বোলিং করে গিয়ে বিকেলে আরও একটি সাফল্য পান তাইজুল। ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ব্ল্যাকউড ফেরেন ২৮ রান। তবে জশুয়া ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বোনার।
মন্থর ব্যাটিংয়ে ১৭৩ বলে ৭৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেন এই ব্যাটসম্যান। জশুয়া অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। এই দুজনের ৪৫ রানের জুটি না ভাঙ্গতে পারলেও শেষ সেশনে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন বোলাররা। পুরো দিনের ৩ সেশনের ২টি গিয়েছে সফরকারীদের পক্ষে আর একটি গিয়েছে স্বাগতিকদের খাতায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস): ২২৩/৫ (ওভার ৯০) (ব্রাথওয়েট ৪৭, বোনার ৭৪*, রাহি ২/৪৬)