|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বরাবরের মতো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বেস্কিমকো ঢাকা। তারা ফরচুন বরিশালকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে।
ঢাকার বোলারদের তোপে ১০৮ রানেই থেমে গিয়েছিল বরিশালের ইনিংস। নাগালের মধ্যে লক্ষ্য পেয়ে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং রবিউল ইসলাম রবি। রবি ২ এবং নাঈম ১২ রান করে ফেরেন।
তৃতীয় উইকেটে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ২২ রান করে তানজিদ ফিরে গেলে ইয়াসির আলীকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিক। ঢাকার দলপতি ৩৪ বলে ২৩ এবং ইয়াসির ৩০ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি উইকেট নিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন আসা-যাওয়ার মাঝেই ব্যাস্ত ছিলেন ফরচুন বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। পঞ্চম ওভারে ওপেনার সাইফ হাসানকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন রবিউল। ১৪ বলে ৯ রান আসে এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। এরপরের বলেই পারভেজ হোসেনকেও ০ রানে ফেরান এই স্পিনার।
চার নম্বরে নেমে রবিউলকে হ্যাটট্রিক করতে না দিলেও ০ বলে ৭ রান করে তাকেই উইকেট ছুঁড়ে দেন আফিফ। অধিনায়ক তামিম ইকবালও ৩১ বলে ৩১ করে রবিউলকে উইকেট ছুঁড়ে দেন। ৩ রান করা ইরফান শুক্ককুরকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নাঈম হাসান।
১৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭১ রান তোলা বরিশাল এরপর আর রানের গতি তেমন একটা বাড়াতে পারেনি। তৌহিদ হৃদয় একাই লড়াই করে গেলেও তাকে ভালোভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ১৯তম ওভারে শফিকুলের বলে ৩৩ রানে রবিউলকে ক্যাঁচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।
একই ওভারে মিরাজকেও ১২ রানে ফেরান এই পেসার। সঙ্গে নেন জোড়া উইকেট মেইডেন। প্রথম ওভারে ১০ রান দেয়া এই পেসার পরের দুই ওভারে কোন রান দেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করতে সক্ষম হয় বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ফরচুন বরিশাল- ২০ ওভারে ১৮/৮ (হৃদয় ৩৩) (রবিউল ৪/২০)
বেক্সিমকো ঢাকা- ১৮.৫ ওভারে ১০৯/৩ (মুশফিক ২৩*, ইয়াসির ৪৪, তানজিদ ২২; মিরাজ ১/১৩)