|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
গেল বছরের ক্রিকেটারদের আন্দোলনের দাবী হিসেবে বেশ জোড়ালোভাবে উত্থাপিত হয়েছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) বর্তমান কমিটির বিলোপ সাধন। সে সময় কোয়াবের কর্মকর্তারা বিষয়টি মেনে নিলেও কিছু দিন পেরোতে না পেরোতেই এক প্রকারে উল্টে যান তারা। পদত্যাগের চিন্তা ভাবনা যেন এক প্রকারে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেন দেবব্রত পাল, খালেদ মাসুদ পাইলট, নাইমুর রহমান দুর্জয়েরা।
যতই দিন যাচ্ছিলো জল বেশ ঘোলাটে হয়ে পড়ে কোয়াবের কর্তাদের পদত্যাগ নিয়ে। নির্বাচন দিয়ে বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি দেবার কথা থাকলেও সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। বহাল তবিয়তেই কার্য পরিচালনা করছে আগের কমিটি।
তবে কি তখন পদত্যাগের দাবী মেনে নেয়াটা শুধুমাত্রই আশ্বাস দেবার ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল? বিষয়টি খোলাসা করলেন খোদ কোয়াবের সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়। সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করেন।
দুর্জয় বলেন, 'আমাদের খেলোয়াড়রা যখন আন্দোলনে গিয়েছিল এরপর একটা প্রেস কনফারেন্সে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলাম। প্রথমে যেটা খেলোয়াড়দের দাবী ছিল আমাদের পদত্যাগ করতে হবে। সেখানে আমাদের কথা ছিল যে এরকম, আমরা তো অনেক বছর দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের অন্যান্য ব্যস্ততাও বেড়ে গিয়েছে। আমরা যখন কোয়াব শুরু করি তখন আমাদের তেমন ব্যস্ততা ছিলো না। এখন আমরাও কিন্তু ওইভাবে চাইনা দায়িত্বে থাকতে।'
'ওদের দাবীটা এমন ছিল যে আমরা পদত্যাগ করবো এবং ওরা ওদের পছন্দ মতো একজন প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করবে। কিন্তু এটা তো কোয়াবের গঠনতন্ত্রে নেই। তোমরা নতুন নেতৃত্ব চাও, আমরাও চাই। কিন্তু সেতা একতা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। পরবর্তিতে সেই প্রক্রিয়াটা তাদের বোঝানোর পরে তারা বুঝতে পেরেছিল বিষয়টা। গঠনতন্ত্রের বাহিরে গিয়ে আমরা তো কিছু করতে পারবো না।'
সেই সঙ্গে দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে পার করতে চান সাবেক এই ক্রিকেটার। তিনি জানান চলমান করোনা পরিস্থিতি সেই প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত করেছে। না হলে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্জয় বলেন, 'আমাদের ছাড়ার একটা প্রক্রিয়া থাকতে হবে, তাদের আসারও একটা প্রক্রিয়া থাকতে হবে। এই জিনিসগুলো এখন পরিষ্কার। আমাদের প্রস্তুতি আছে যে কোনো সময়ে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার। এর ভেতরই সব হয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু করোনা কেন্দ্রীক সমস্যা না থাকলে ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত। আমরা আসলে চাচ্ছি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী কেউ দায়িত্ব নিক।'
২০০৮ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল কোয়াবের। এক প্রকারে নামকাওয়াস্তে সক্রিয় সেই কমিটির অধীনেই ১২ বছর ধরে রয়েছে সংগঠনটি।