|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ওমানকে ৩৪ রানে হারিয়ে হংকং সিক্সেসের শুরুটা ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই হারতে হয়েছে ইয়াসির আলী রাব্বির দলকে। ৬ ওভারের টুর্নামেন্টে ১০৮ রান তাড়ায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও জিসান আলমের ব্যাটে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে ১৮ রানে হারলেও ‘ডি’ গ্রুপের রানার্স আপ সেরা আটে জায়গা করে নিয়েছে টাইগাররা। সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হতে পারে ভারত কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাত।
হংকংয়ের মংককে ১০৮ রান তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় বলেই ছক্কা মারেন ইয়াসির। ছক্কা মারার পরের বলেই আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ধনাঞ্জয়া লাকশানের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ২ বলে ৬ রান করা ইয়াসির। তিনে নেমে আরেক ওপেনার জিসানকে সঙ্গ দিতে থাকেন সাইফউদ্দিন।
যদিও দুজনের কেউই দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না। প্রথম ওভারে ১৪ রান করা বাংলাদেশ পরের ওভারে করতে পেরেছে মাত্র ১০ রান। থারিন্দু রত্নায়েকের করা তৃতীয় ওভারে এক ছক্কা ও চারে ১৫ রান এনেছে বাংলাদেশ। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫২। ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে ৫৬ রান করতে হতো বাংলাদেশকে।
লাহিরু সামারকুনের প্রথম তিন বলে দুই ছক্কা মেরে সেই পথেই হাঁটছিল বাংলাদেশ। তবে হাত খুলে খেলতে শুরু করা জিসানকে পরের বলেই ফিরিয়েছেন সামারকুন। লঙ্কান মিডিয়াম পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ১৩ বলে ২৭ রান করা জিসান। চারে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলেন আবু হায়দার রনি।
যদিও পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। সামারকুনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। শেষ ওভারে তিন ছক্কা মারলেও জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন সাইফউদ্দিন। মাত্র ২ বল খেলা সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে এসেছে ৭ রান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬ ওভারে ১০৭ রানের পুঁজি গড়ে শ্রীলঙ্কা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন লিহুরু মাদুশঙ্কা। এ ছাড়া থানুকা দাবারে ১২ বলে ৩২ এবং সান্দুন করেছেন ৬ বলে ১৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে এক ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন জিসান।