টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল ‘নতুন’ ভারত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 20:30 Saturday, July 6, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছে ভারত। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের শিরোপা জয়ের উৎসব এখনও চলছে। আর এরই মাঝে জিম্বাবুয়েতে সিরিজ খেলছে শুভমান গিলের নেতৃত্বে থাকা 'নতুন' ভারত দল। শিরোপা জেতার পর প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ১৩ রানে হারাল জিম্বাবুয়ে। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আসা যাওয়ার মধ্যে ব্যস্ত থাকে ভারতের ব্যাটাররা। মাত্র চতুর্থ বলেই ফিরে যান অভিষেক শর্মা। তাকে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় করেন ব্রায়ান বেনেট।

এরপর পাওয়ার প্লে'র মধ্যেই আরও তিন উইকেট হারায় ভারত। ৯ বলে ৭ রান করা রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ফেরান ব্লেসিং মুজারাবানি। চতুর্থ ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। টেন্ডাই চাতারার একই ওভারে ফিরে যান রায়ান পরাগ (০) এবং রিঙ্কু সিং (০)।

১১ ওভারের মধ্যে আরও দুই ব্যাটারের উইকেট হারায় দলটি। দশম ওভারের মধ্যে ফিরে যান ধ্রুব জুরেল। লুক জঙ্গুইয়ের অফ-কাটারে বিদায় নেন তিনি। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অবশেষে যোগ দেন শুভমান।

২৯ বলে ৩১ রান করে সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হন ভারতের ভারপ্রাপ্ত এই অধিনায়ক। এরপর রবি বিষ্ণই (৯) এবং মুকেশ কুমারকেও (০) বিদায় করেন তিনি। শেষদিকে ১২ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে ভারতকে কিছুটা এগিয়ে নেন আভেষ খান।

আরেক দিক থেকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তার নৈপুণ্যে জয়ের খুব কাছে চলে যায় দলটি। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৬ রান। তবে চাতারার সেই ওভারে এই রান নিতে পারেনি ভারত। ৩৪ বলে ২৭ রান তুলে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন সুন্দর।

এর আগে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১১৫ রান। মূলত রবি বিষ্ণইয়ের অসাধারণ ঘূর্ণিতে সুবিধা করতে পারেনি দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংসটি খেলেন উইকেটরক্ষক কাইভ মাদানে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে ডিওন মায়ার্সের ব্যাটে। এ ছাড়া ওয়েসলি মাধেভেরে ২১ এবং ব্রায়ান বেনেট ২২ রান করেন। ভারতের হয়ে ১৩ রান খরচায় চার উইকেট নেন বিষ্ণই। দুটি মেইডেন ওভারও আদায় করেন তিনি।

এ ছাড়া ১১ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। একটি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার এবং আভেষ খান।