টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এমন পিচে সেমি ফাইনাল উচিত না: ট্রট

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 14:51 Thursday, June 27, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই পিচ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের লো স্কোরিং উইকেটে নাভিশ্বাস উঠেছে ব্যাটারদের। যুক্তরাষ্ট্রের নাসাও কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড রীতিমতো ব্যাটারদের বধ্যভূমি রূপে হাজির হয়েছিল।

একই লেংথ বল কোনোটা ব্যাটারের বুক বরাবর উঠে এসেছিল আবার কোনোটা ছিল হাঁটুর নিচে। কোনো কোনো বলে ব্যাটার আঘাত পেয়েছেন হেলমেটে। আবার কেউ বুড়ো আঙুলেও পেয়েছেন চোট। সেই দুর্দশা পিছু ছাড়েনি ওয়েস্ট ইন্ডিজেও।

সুপার এইট ও নক আউট পর্বের ম্যাচগুলো ক্যাবিবীয় দীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বড় রানের আশায় ছিলেন দর্শকরা। সেই আশাতেও গুড়েবালি। সুপার এইট পর্বেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে লো স্কোরিং। সেমি ফাইনালেও বাজে উইকেটে খেলতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। ম্যাচ শেষে পিচ নিয়ে সমালোচনা করেছেন দলটির প্রধান কোচ জোনাথন ট্রটও। এমন পিচে আয়োজন করা উচিত হয়নি, এ কথা কোনো রাখঢাক না রেখেই বলে দিয়েছেন তিনি।

এটাকে অজুহাত না বানাতে না চাইকেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি আফগান প্রধান কোচ। তিনি বলেছেন, 'আমি নিজেকে বিপদে ফেলতে চাই না। ‘আঙুর ফল টক’ এই ধরনের কোনো অনুভুতিও ছড়িয়ে দিতে চাই না। তবে ব্যাপারটি হলো, এই ধরনের পিচে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ কাম্য নয়, প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল। লড়াইটা ন্যায্য হওয়া উচিত।'

ত্রিনিদাদে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি আফগান ব্যাটাররা। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পঞ্চাশের আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল তারা যদিও শেষ পর্যন্ত ৫৬ রানের সংগ্রহেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

আফগানদের ওপর এদিন ছড়ি ঘুরিয়েছেন প্রোটিয়া পেসাররাই। মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা ও অ্যানরিখ নরকিয়া মিলেই নিয়েছেন ৭ উইকেট। বাকি তিনটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাবরাইজ শামসি। একদম ব্যাটিং উইকেট কাম্য না হলেও ব্যাটাররা যেন নিজেদের স্কিল দেখানোর সুযোগ পান এমন উইকেটের আশায় ছিলেন ট্রট।

উইকেটের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেছেন, 'এমন বলছি না যে, পিচে কোনো স্পিন ধরবে না বা সিম মুভমেন্ট থাকবে না। তবে ফরোয়ার্ড খেলতে গেলে ব্যাটসম্যানরা ভয়ে থাকবে যে, বল মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে, এমন কিছুও হওয়া উচিত নয়। পায়ের কাজ নিয়ে, বা বলের লাইনে খেলার চেষ্টা কিংবা নিজের স্কিল দেখানোর চেষ্টায় সবার ভরসা থাকা উচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাপারটিই হলো আগ্রাসী হওয়ার, রান করার ও উইকেট নেওয়ার। এখানে টিকে থাকতেই ভোগান্তি হওয়ার কথা নয়।'

সেমি ফাইনালে আফগানিস্তানের ভ্রমণ ক্লান্তিও বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হয়েছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচ শেষ করে হোটেলে ফিরতেই তাদের বেজে গিয়েছিল রাত ৩টা। এরপর ৮টায় বিমানবন্দরে ছুটতে হয় তাদের। সেখানেও ৪ ঘণ্টা ফ্লাইট বিলম্বের শিকার হয় রশিদ খানের দল। ফলে পর্যাপ্ত ঘুম বা প্রস্তুতি কোনোটাই হয়নি আফগানদের।

এমন আদর্শ নয় এমনটাও জানিয়েছেন ট্রট। ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়ে তিনি বলেছেন, 'গ্রুপ পর্বের (সুপার এইট) শেষ ম্যাচ খেলার পর প্রথম সেমি-ফাইনাল খেলাটা আদর্শ কিছু নয় অবশ্যই। তার পর ভ্রমণ ছিল, গতকাল এখানে এসে… সত্যিকার অর্থে কোনো ‘ডে অফ’ ছিল না। তবে সূচি আমরা জানতামই, তাই এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না।'