টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ওপেনারদের ওপর অতি নির্ভরতাই আফগানদের ছিটকে দিয়েছে, বলছেন ট্রট

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 12:23 Thursday, June 27, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলেছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালও খেলা হয়েছে আফগানদের। তবে এই দুজনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়াটা দলের জন্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জনাথন ট্রট।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আট ইনিংসে গুরবাজ করেছেন ৩৫.১২ গড়ে ২৮১ রান। আফগানিস্তান তো বটেই, এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এ ছাড়া ২৮.৮৭ গড়ে আট ইনিংসে ২৩১ রান করেছেন ইব্রাহিম।

বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার অবস্থান তিন নম্বরে। সেমিফাইনালে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি এই দুজন। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে গুরবাজ শূন্য এবং ইব্রাহিম দুই রানে ফিরে গেছেন। ফলে ৫৬ রানে অলআউট হয়ে আফগানরা হেরেছে ৯ উইকেটে।

ম্যাচ শেষে দলটির হেড কোচ ট্রট বলেন, 'আমাদের মিডল অর্ডার সেভাবে ভালো কিছু করতে পারেনি। এই বিশ্বকাপে আমরা গুরবাজ এবং ইব্রাহিমের ওপর অনেক নির্ভরশীল ছিলাম। কেউই সেভাবে রান করতে পারেনি। এটার কারণ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের আরও কিছু ব্যাটার দরকার যারা ওপেনারদের মতো ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারে, যারা আমাদের খেলায় সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।'

'এমনকি ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও আমাদের এমন ব্যাটার দরকার আছে, তাহলে গুরবাজ আর ইব্রাহিমের সাথে তারাও ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারবে। এটাই এখন লক্ষ্য। এই বিশ্বকাপ থেকে আমি যেটা নিয়ে যাচ্ছি তা হচ্ছে, ওপেনারদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা।'

এবারের বিশ্বকাপ থেকে শেখার অনেক উপলক্ষ খুঁজে পেয়েছেন ট্রট। বিশ্বকাপ যাত্রা এখানেই শেষ হওয়ায় আগামী সময়টায় আফগানদের জন্য ভালো মানের মিডল অর্ডার ব্যাটার খুঁজে পাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ইংলিশ এই কোচ।

ট্রট আরও বলেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের কিছু মিডল অর্ডার ব্যাটার দরকার যারা এখানে খুব ভালো ব্যাটিং করতে পারে। আমরা পরবর্তী সময়টায় সেটা খুঁজে বের করতে চাইব। যারা আমাদের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলোতে ভালো ব্যাটিং করতে পারে। আমার মনে হয় স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান পেলে আমরা সেটা ডিফেন্ড করতে পারি। বোলারদের আমরা পর্যাপ্ত রান দিতে পারি তাহলে তারা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে।'

'ফ্ল্যাট উইকেটের বাইরে ব্যাট হাতে আমাদের আরও মানিয়ে নিতে শিখতে হবে। আমরা দারুণ কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেয়েছি। ফিল্ডিংয়ের মানও আগের থেকে ভালো হয়েছে। ছেলেরা বুঝতে শিখেছে কঠোর পরিশ্রম করলে সেটা ম্যাচে দেখানোর সুযোগ থাকে। ক্লোজ ডোরে আরও কিছু বিষয় আছে যা আমি তাদের সাথে আলোচনা করেছি।'