টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বাকিরা এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে পার্থক্য বেড়েছে: পোথাস

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 18:11 Monday, June 24, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

৬ ম্যাচে তিন জয়ের বিপরীতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হার তিনটিতে। এমন পরিসংখ্যানে তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলতেই পারেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। সাফল্যের বিচারে এযাবতকালের সবচেয়ে সফল ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলছেন সাকিব আল হাসানরা। জয়-পরাজয়ের হিসেবে পরিসংখ্যানটা খারাপ নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে সাকিবও এমনটাই বলেছিলেন। যদিও পারফরম্যান্স বিবেচনায় সাফল্য এখনও অনেকটা দূরে বাংলাদেশের।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে টাইগাররা। বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়ে আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোচ সেই সময় দাবি করেছিলেন, গত ২৫ বছরে এগোয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট। যদিও এমনটা মানতে নারাজ বাংলাদেশিরা। তবে প্রশ্নটা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট কি সত্যিই এগোয়নি? বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় উত্তরটা হয়ত না ই হবে।

২০ ওভারের ক্রিকেটের শুরুর দিকে যেমন ছিল সবশেষ কয়েক বছরে সেটা একদমই বিপরীত পর্যায়ে চলে গেছে। একটা সময় ১৪০-১৬০ রান করতে পারলেই ম্যাচ জিতে যেতো আগে ব্যাট করা দল। অথচ এখন অনেকক্ষেত্রে সেটা দুইশ ছাড়িয়ে গেছে। বেশিরভাগ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পার স্কোর ধরা ১৮০ কিংবা ১৯০ রানকে। অথচ বাংলাদেশ এখনও পড়ে আছে ১৩০-১৪০ রানের ঘরে। অজিদের বিপক্ষে হারের পর সাকিব নিজেও স্বীকার করেছেন এমনটা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোনোর প্রশ্নে যেটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তা হলো নিজেদের লক্ষ্য। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড যাওয়ার আশায় বিশ্বকাপ খেলা টাইগাররা এখনও আছেন সেখানেই। অথচ বিশ্বের বাকি দলগুলো এসময়ে এগিয়ে গেছে অনেকটা। বাংলাদেশের সঙ্গে পার্থক্য দেখছেন নিক পোথাসও। বাংলাদেশের সহকারী কোচ মনে করেন, ২০০৭ সালের চিন্তা পরিবর্তিত না হলে দেশের ক্রিকেট তবে এগোয়নি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে পোথাস বলেন, ‘আমি এক বছরের একটু বেশি সময় দলের সঙ্গে আছি। আমার মনে হয় আপনার যেটা দেখা উচিত, ২০০৭ সাল থেকে বর্তমানে কি পরিবর্তিত হয়েছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ যা করেছে, এখনও যদি তাই করে তাহলে সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ আগায়নি। যেখানে পুরো বিশ্ব এগিয়ে গেছে, আর তাই পার্থক্যও বেশ বেড়ে গেছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাই আমাদের জিজ্ঞেস করা উচিত ২০০৭ সালের সঙ্গে এই দলের পার্থক্য কি। আমাদের কি করা উচিত, সেটা প্রশ্ন হতে পারে না। আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন আমাদের কি করা উচিত। আমাদের পাওয়ার খোঁজা উচিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে পাওয়ার লাগবেই।’