|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পুরনো ব্যাট-গ্লাভস দিয়ে এতদিন খেলে আসছিলেন ভানুয়াতুর নারী ক্রিকেটাররা। তবে আবু ধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে নতুন ব্যাট-গ্লাভসের সঙ্গে পেয়েছেন কিট, প্যাড এবং থাই প্যাড। নারী ক্রিকেটারদের এমন কিছু পেতে গণ-অর্থায়নের পথে হাঁটতে হয় ভানুয়াতু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে।
তিন লাখের একটু বেশি দেশের জনগণ চাঁদা হিসেবে দিয়েছিলেন সাড়ে সাত লাখ ভাতু (৬ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার)। আইসিসির বার্ষিক অর্থায়ন ও এসব মিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে এসেছে ভানুয়াতু। ছেলে কিংবা মেয়েদের হিসেবে এবারই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মতো বড় কোন মঞ্চে খেলতে এসেছেন ভানুয়াতুর নারী ক্রিকেটাররা।
যাদের ক্রিকেটের সরঞ্জাম কেনার টাকাই ছিল কিংবা চাঁদার টাকায় এসব কিনতে হয় তারাই কিনা চমকে দিলেন জিম্বাবুয়েকে। শক্তিমত্তায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দল না হলেও ভানুয়াতুর চেয়ে ঢের এগিয়ে তারা। কারণ যেখানে ভানুয়াতুর টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং ৩০ সেখানে জিম্বাবুয়ে রয়েছে ১২ নম্বরে। বাছাই পর্বের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেটে হারিয়ে ভানুয়াতু।
আবু ধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতি উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ভানুয়াতুর দুই স্পিনার ভ্যানেসা ভিরা ও নাসিমানা নাভাইকার সামনে যেন দাঁড়াতেই পারেনি রোডেশিয়ানরা। দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেট। এ ছাড়া পেসার র্যাচেল অ্যান্ড্রু ২ উইকেট নিয়েছেন।
ভানুয়াতুর স্পিনারদের মাঝে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাসিমানা। আরেক স্পিনার ভিরা ৩.৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। পেসার র্যাচেল ২ উইকেট নিতে ২ ওভারে খরচ করেছেন ১০ রান। তাদের তিনজনের এমন বোলিংয়ে মাত্র ৬১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ৮ ওভারের ম্যাচে আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৬৫ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও ভানুয়াতুকে পথ দেখিয়েছেন নাসিমানা। তিনে নেমে খেলেছেন ৩৬ বলে ২১ রানের ইনিংস।
এ ছাড়া ভ্যালেন্টা ল্যাঙ্গিয়াতু ১৭ বলে ১৩ এবং আলভিনা চিলিয়া করেছেন ১৭ বলে ১০ রান। তাতেই ২১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভানুয়াতু। জিম্বাবুয়ের হয়ে মাজভিয়াসা নিয়েছেন দুট উইকেট। বল হাতে ৪ উইকেট এবং ব্যাটিং ২১ রান করা নাসিমানা হয়েছেন ম্যাচসেরা।