|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০২২ নারী বিশ্বকাপের বেশ কিছু ছবি নেট দুনিয়ায় সকলের নজর কেড়েছিল। যেখানে বিসমাহ মারুফ ও তাঁর কন্যাসন্তানের সঙ্গে হাস্যজ্জলভাবে মেতে উঠতে দেখা যায় ভারতীয় দলের নারী ক্রিকেটাদের। সেটাই ছিল বিসমার শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে ১৮ বছরের ৪টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ৮টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। এবার সেই বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন।
পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয় মারুফের। এরপর দেশের হয়ে রেকর্ড ২৭৬ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই। যেখানে ১৩৬ ওয়ানডেতে ৩ হাজার ৩৬৯ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৪৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ সময় টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও নিজেকে মেলে ধরেছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।
লম্বা ক্যারিয়ারে ১৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মারুফা। যেখানে ব্যাট হাতে করেছেন ২ হাজার ৮৯৩ রান। বল হাঁতেও তুলেছেন ৩৬টি উইকেট। নিজের ক্যারিয়ারের সুন্দর যাত্রা যে ভুলার মত নয় সেটা নিজেই স্বীকার করেছেন। নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পেয়েছেন পরিবারের সমর্থন। এর জন্য কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে বিসমাহ বলেন, 'যে খেলাটা আমি সবচেয়ে ভালোবাসি, সেখান থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চ্যালেঞ্জ, জয় ও ভুলে যাওয়ার মতো নয়—এমন সব স্মৃতি মিলিয়ে অসাধারণ এক অভিযাত্রা ছিল। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পরিবারের সমর্থন ছিল, সে জন্য পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।'
বিসমাহ পাকিস্তানকে ৯৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেখানে দলটির শেষ তিনটি বিশ্বকাপেও দলের নেতৃত্ব ছিলেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) তাকে সাপোর্ট করেছে। মূলত ২০২২ সালে বিসমাহর জন্য ১২ মাসব্যাপী বেতনভুক্ত ছুটির পলিসি কার্যকর করে পিসিবি। তাই বোর্ড ও নিজের সতীর্থদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
পিসিবিকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য এবং নিজের প্রতিভা প্রাকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য। পিসিবির কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি, সেটি অমূল্য, বিশেষ করে তারা আমার জন্য প্রথমবারের মতো মাতা–পিতাসংক্রান্ত পলিসি গ্রহণ করেছেন। তাতে মায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।’
এ সময় সমর্থক ও সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, ‘ক্যারিয়ারজুড়ে যেকোনো জায়গায়, যেকোনোভাবে আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাওয়ার ভক্তদের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আর সবার শেষে আমি ধন্যবাদ জানাই সতীর্থদের। তারা আমার কাছে পরিবারের মতো। মাঠ ও মাঠের বাইরে যে সম্পর্ক আমরা তৈরি করেছি, সেটা সব সময়ই মনে থাকবে।’