|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্বপ্নের বিশ্বকাপে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কি ছিলো অর্জনের খাতায়, ব্যর্থ হয়েছে কতটুকু তার হিসাবটা সহজ হয়ে যায় টাইগারদের ব্যাটিং দেখলেই। সেই অনুসারে সবথেকে বেশি আশাহত করেছে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। ছন্দহীন ব্যাটিংয়ে রান খরায় ভুগেছেন লিটন দাসও। তার অফ-ফর্মের আক্ষেপে পুড়েছে দেশের ভক্তরা। ব্যতিক্রম ছিলেন না জাতীয় দলের ব্যাটার ইমরুল কায়েসও। লিটনের ব্যাটিং নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভ আড্ডায়।
বিশ্বকাপ শুরুর আগ মূহুর্তে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন টাইগারদের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে সাধারণ ভাবেই প্রত্যাশাটা একটু বেশিই ছিলো লিটন কুমার দাসের ওপর। তবে বিশ্বকাপ জুড়ে শুধুই ব্যর্থতার গল্প এসেছে তার ব্যাট থেকে। অবশ্য প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩ রান করে আউট হলেও ফিরেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২ ছক্কা ও ৭ চারে করেন ৭৬ রান।
এরপর ভারতের বিপক্ষেও চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন। এটাই ছিলো শেষ এরপর আসর জুড়ে তার ব্যাট আর কথা বলেনি। টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে মাত্র ৩১.৫৫ গড়ে করেছেন ২৮৪ রান। এমন পারফরম্যান্সে প্রত্যাশার কতটুকু মিটিয়েছেন প্রশ্ন থাকতেই পারে। উত্তরটা অবশ্য ক্রিকফ্রেঞ্জির ফেসবুক লাইভ আড্ডায় দিয়েছেন জাতীয় দলের আরেক ওপেনার ইমরুল।
লিটনের প্রত্যাশা পূরণের প্রশ্নে আক্ষেপ নিয়ে ইমরুল বলেন, 'আপনি একজন প্লেয়ার হিসেবে যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন...পার্সোনালি আমি সবসময় লিটনের প্রশংসা করি। শুধু এখনই না, ন্যাশনাল টিম থেকে যখন (লিটন) বাদ পড়ে কিংবা যখন ন্যাশনাল টিমে ঢুকবে তখনও আমি বলেছি ও অনেক কোয়ালিটি প্লেয়ার। কিন্ত লিটনের এই পারফরম্যান্সে লিটন সন্তুষ্ট হলেও, আমি সন্তুষ্ট হবো না।'
চলতি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে বড় একটা পার্থক্য করে দিচ্ছে দলের ওপেনার কিংবা টপ অর্ডার অর্ডার ব্যাটাররা। যেটা রোহিত শর্মা কিংবা ডি ককদের দেখলে অনেকটাই অনুমান করা যায়। আর টাইগাররা সেখানেই ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই ইমরুল মনে করেন লিটনের ব্যাট হাসলে বাংলাদেশের পজিশনটা আরও ভিন্ন হতো। তার মতে, আসরে লিটনের অন্তত দুটো সেঞ্চুরি থাকা উচিত ছিলো।
ইমরুল আরও বলেন, 'ওর (লিটনের) যেই ক্যালিভার আছে, আর যেই ক্যাপাবিলিটি আছে ও অন্তত রোহিত শর্মা বা ডি কক... না ডি কক এবার এক্সেপশনাল খেলতেছে। কিন্ত অন্তত ৪০০, সাড়ে চারশ, পাঁচশ রান করা উচিত ছিলো লিটনের। অন্তত একটা বা দুইটা একশ মারলো, তিন-চারটা ৫০ মারলো। তাহলে দেখতেন আমাদের টিমের চেহারাই বদলে যেতো। আমরা অন্য রকম একটা পজিশনে থাকতাম। কিন্ত... লিটনের কাছে অনেক আশা আমার। ব্যক্তিগতভাবে আমার আশা ওর কাছে অনেক বেশি।'