|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ব্যাট হাতে সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছিলো না পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হন মাত্র ২২ রান করে। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচে ছিলেন দলের বাইরে। এদিকে পাকিস্তান যখন বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পথে ঠিক সেই সময় ফিরলেনে ফখর। ফিরেই করলেন সেঞ্চুরি এমনকি পাকিস্তানের সেমির আশাটাও বাঁচিয়ে রাখলেন তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিলে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন ফখর। যেখানে ১৮০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। তবে দলের হয়ে এটাই ছিলো তার শেষ সেঞ্চুরি। এরপর টানা ১১ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা কোনও হাফ সেঞ্চুরির দেখাও পাননি তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন সবশেষ এশিয়া কাপেও। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ছন্দে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ পর নেমেই ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ফখর। তবে দলের প্রয়োজনে চমকটা দেখিয়েছেন গতকাল তিনি। কিইউদের দেওয়া ৪০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এদিন ১১ ছক্কা ও ৮ চারে ৮১ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই বৃষ্টি আইনে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। হঠাৎ এভাবে ফেরার গল্পটাও জানালেন এই ওপেনার।
ম্যাচ শেষে ফখর বলেন, 'এই পর্যায়ের ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকবেই। এশিয়া কাপও আমার ভালো কাটেনি। আমার সর্বোচ্চ রান ছিল মনে হয় ৩০(২৭) সময়টা ভালো ছিল না। এরপর আফতাব খানের (পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ) সঙ্গে তার অ্যাকাডেমিতে কাজ করতে পেশোয়ারে গিয়েছিলাম। সেখানে অফ স্পিনারদের বিপক্ষে আমার কিছু দুর্বলতা তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি নিজেও একজন অফ স্পিনার ছিলেন, তাই তার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি।'
ফখর ফিরলেন নিজ ছন্দে এমনকি পাকিস্তানের সেমির আশাটাও বাঁচিয়ে রাখলেন তিনি। তবে এই যাত্রাটা একদম সহজ ছিলো না। এশিয়া কাপের পরই নিজেকে নিয়ে কাজ করতে ছুটে গেছেন পেশোয়ারে। নিজেকে নিয়ে কাজ ফলাফল অবশ্য শেষে দুই ম্যাচেই দেখা গেলো। তাই নিজের দারুণ পারফরম্যান্সকে উৎসর্গ করলেন আফতাব খানকে।
ফখর আরও বলেন, '(ভালো) পারফর্ম করার পর সব ক্রিকেটারই বলে আমি এটা করেছি, সেটা করেছি। তবে আমি আসলেই এশিয়া কাপের পর অবসর সময়টাতে বিশ্রাম করিনি। দুই দিন বাড়িতে থেকেই ট্রেনে পেশোয়ার চলে যাই। এই পারফরম্যান্স আফতাব খানের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চাই।'