এক পেশে জয়ে ফাইনালে সাকিবরা

ছবি:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) হাইভোল্টেজ কোয়ালিফায়ারে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৯৫ রানের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।
এই নিয়ে চতুর্থ বারের মতো বিপিএলের ফাইনাল খেলছে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৯৬ রানে অল আউট হয় কুমিল্লা।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার লিটন কুমার দাসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। লিটন কোনো রান না করেই মোসাদ্দেক হোসেনের বলে কট এন্ড বোল্ড আউট হয়েছেন।
এর পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ৫ রান করা জস বাটলারকে। তারপর ৯ রান করা ইমরুল কায়েসকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
মারলন স্যামুয়েলসকে সঙ্গে নিয়ে ৭.৫ ওভারে দলীয় অর্ধশতক পুরণ করেন তামিম ইকবাল। ৬ রান করা স্যামুয়েলসকে জহুরুল ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন আবু হায়দার রনি।
কুমিল্লা অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩১ রান করে শহীদ আফ্রিদির বলে জহুরুল ইসলামের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে আউ্ট হয়েছেন। একই ওভারে কোনো রান না করা ব্রাভোকে লেগ বিফোরের ফাঁঁদে ফেলে আউট করেছেন আফ্রিদি।

সাইফউদ্দিনও কোনো রান না করে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ৭ রান করা শোয়েব মালিককে আবু হায়দারের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
শেষ দিকে হাসান আলী ১৮ রান করে সুনীল নারিনের বলে জহুরুলের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েছেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আল আমিন হোসেন কোনো রান না করে আফ্রিদির বলে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ দিলে মাত্র ৯৬ রানে অল আউট হয় কুমিল্লা।
ফলে ৯৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। এই জয়ে সরাসরি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সাকিবের দল। তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফলে ব্যাটিংয়ে নামেন ঢাকার দুই ওপেনার এভিন লুইস ও মেহেদী মারুফ।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ঢাকা । তারা দলীয় ১১ রানে ব্যক্তিগত ৬ রান করা মেহেদী মারুফের উইকেট হারায়। মারুফ হাসান আলীর বলে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
মারুফ ফিরে যাওয়ার পর লুইসের সাথে যোগ দেন জো ডেনলি। এই দুজনের ব্যাটে রান বাড়তে থাকে ঢাকার। মাত্র ৫.৪ ওভারে ঢাকার দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ ছাড়ায়।
দলীয় ৮০ রানে ৪৭ রান করা এভিন লুইসের উইকেট হারায় ঢাকা। লুইস শোয়েব মালিকের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তারপর পোলার্ডকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন ডেনলি।
পোলার্ডকে ফিরিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো। পোলার্ড ৩১ রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। তারপর ৩২ রান করা ডেনলি রান আউটের শিকার হয়েছেন।
ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিবকেও ফিরিয়েছেন ব্রাভো। সাকিব ৯ রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তারপর আফ্রিদি-মোসাদ্দেকের ব্যাটে বড় রানের স্বপ্ন দেখে ঢাকা।
কিন্তু দলীয় ১৭৯ রানে হাসান আলীর বলে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৩ রান করা মোসাদ্দেক হোসেন। তার ঠিক পরের বলেই ৩০ রান করা আফ্রিদি তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
শেষ দিকে সূনীল নারিন ৯ রান ও জহুরুল ইসলাম ৩ রানে অপরাজিত থাকলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে গত আসরে চ্যাম্পিয়নরা ।