ফাইনালেও মেট্রোকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে চান নাইম
ছবি: নাইম শেখ (বামে), আকবর আলী (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি
এবারের আসরটিতে শুরু থেকেই ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন নাইম। মেট্রোর অধিনায়ক ৯ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৩৫.১১ গড়ে ৩১৬ রান করেছেন। আসরে নাইমের স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৭৯। হাফ সেঞ্চুরি তিনটি।
টুর্নামেন্টে নাইমের চাইতে বেশি রান নেই কারোরই। এমনকি তিনশও অতিক্রম করতে পারেননি কেউ। ফাইনালে কেউ বড় সংগ্রহ না পেলে নিশ্চিতভাবেই সর্বোচ্চ রান থাকছে নাইমের। তার মতো অসাধারণ পারফরম্যান্স মেট্রোরও।
আসরে নয়টি ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে মেট্রো। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বে খেলা সাতটি ম্যাচেই একটানা জিতেছে নাইমের নেতৃত্বাধীন দলটি। পুরো আসরের মতো ফাইনালের আগেও দলকে শান্ত রাখতে চান নাইম।
তিনি বলেন, 'আসলে ওভাবে চিন্তা করিনি...যে চাপ নিয়ে খেলব। প্রথমেই দলকে আমি বলেছি, আমরা একটা একটা ম্যাচ যাব। লম্বা ওরকম কিছু চিন্তা করব না। একটা একটা ম্যাচ শেষ করে কোয়ালিফাই হওয়ার চেষ্টা করব। আর ড্রেসিংরুমে শান্ত থাকার চেষ্টা করব।'
'টিম হিসেবে এরকম একটা টিম যখন আপনার কাছে থাকবে...তখন সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। মাঠে যেরকমই সিচুয়েশন আসুক। আমি টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে চেষ্টা করছি দলকে ভালো একটা শুরু এনে দেয়ার। দলের অধিনায়ক হিসেবে আপনার তো একটা দায়িত্ব থাকেই। তো সেটাই চেষ্টা করছি... মাঠে উপভোগ করার জন্য। আর বোলারগুলো পুরোপুরি ব্যবহার করার জন্য।'
মেট্রোর হয়ে ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছেন ইমরান উজ্জামান (২২৪ রান), শামসুর রহমান শুভ (১৮২ রান)। বল হাতে রাকিবুল হাসান (১৪ উইকেট), আলিস আল ইসলাম (১২ উইকেট) ও আবু হায়দার রনিরাও (১২ উইকেট) রেখেছেন দারুণ অবদান।
নাইম আরও বলেন, 'আমার দলে ৬-৭ জন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া ক্রিকেটার আছে। একেকজন একেক দিন ভালো করেছে। ছোট দল বা বড় দল বলে কোন কথা নেই টি-টোয়েন্টিতে মাঠে যারা ভালো করবে তারাই ফল পাবে। চেষ্টা আছে মাঠে সেরাটা দিয়ে দেওয়ার।'