আইপিএলে ২ মাসের পরিশ্রমে বিশ্বকাপে সফল রাদারফোর্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে ছিলেন শেরফান রাদারফোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিতলেও একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি এই ক্রিকেটারের। তারপরও ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপ না রেখে কেকেআরের নেটে নিয়মিত অনুশীলন করে গিয়েছেন রাদারফোর্ড। আর সেই পরিশ্রমের ফল চলতি বিশ্বকাপে পেলেন উইন্ডিজ এই ক্রিকেটার।
সুপার এইটের রাস্তা খোলা রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না নিউজিল্যান্ডের। আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যাবধানে হারের পর কেন উইলিয়ামসনের দলকে জিততেই হত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। কিন্তু ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মাঠে বাস্তবতা টের পেল কেন উইলিয়ামসনের দল।
স্বাগতিকদের কাছে ১৩ রানে হেরে শেষ আটে ওঠার পথ আরও কঠিন করে ফেলল কিউইরা। আর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টানা ৩ জয়ে সুপার এইটে উঠে গেল রভমান পাওয়েলের দল। তবে উইন্ডিজদের এই জয়ের নায়ক রাদারফোর্ড।
পাওয়ার প্লে'তে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরের ব্যাটাররাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে। কিন্তু টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের বিপক্ষে ঝড় তোলে উইন্ডিজদের ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি এনে দেন রাদারফোর্ড।
৬ ছক্কা ও ২ চারে ৩৯ বলে রাদারফোর্ড অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানে। ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩৬ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। ফলে ১৩ রানে জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। রাদারফোর্ড হন ম্যাচসেরা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে আইপিএলের মঞ্চে বাড়তি পরিশ্রমের কথা জানান তিনি।
রাদারফোর্ড বলেন, 'আমি গেল ২ মাস আইপিএলে ছিলাম। ম্যাচ পাইনি কিন্তু নিজেকে বসিয়ে রাখিনি। আমি সেখানে টানা অনুশীলন করে গিয়েছি। সেখানে অনেক কাজ করেছি, পরিকল্পনা সাজিয়েছি। সবকিছু সহজ রাখতে চেয়েছি এবং নিজের ওপর আস্থা ছিল। এটাই আমার সাফল্যের মূলমন্ত্র।'
'আজ যখন ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মাঝে ছিল তখনও নিজের ওপর ভরসা ছিল যে আমি পারব। আমি চেয়েছিলাম খেলাটা শেষ পর্যন্ত নিতে, টিকে থাকতে। ড্যারেন স্যামিও আমাকে এটা বলেছিল যে শেষ পর্যন্ত থেকো। উইকেটে থাকতে থাকতে মনে হয়েছে আমি ছন্দ পেয়েছি। এরপরই এমন ইনিংস খেলতে পারলাম' আরও যোগ করেন তিনি।
