১৭ বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন কার্তিক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের ২০-৩০ রানের কমতি ছিল, দাবি কার্তিকের
২১ ফেব্রুয়ারি ২৫
আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আইপিএলের এবারের আসরের পর চূড়ান্তভাবে বিদায় জানাতে পারেন ক্রিকেটকে। বুধবার আহমেদাবাদে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে এলিমিনেটরে হেরে আরসিবি আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার ম্যাচে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন দীনেশ কার্তিক।
যদিও ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা এখনও দেননি কার্তিক। তবে স্টার স্পোর্টসের ব্রডকাস্টাররা নিশ্চিত করেছে এটিই ছিল পেশাদার ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ। চার উইকেটে ম্যাচ হারের পর কার্তিককে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা।
তাদের গার্ড অব অনারে আপ্লুত হয়ে পড়েন কার্তিক নিজেও। এ ছাড়া কার্তিক যেভাবে বিদায় চেয়ে নেন সমর্থকদের কাছ থেকে, তাতেও তার অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বুধবারের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে এলিমিনেটরে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন কার্তিক।

তিনি একটি চার মারেন। পরে উইকেটকিপিং করতে নেমে ইয়াশভি জায়সাওয়ালের ক্যাচ ধরার পাশাপাশি সাঞ্জু স্যামসনকে স্টাম্পিং করেন কার্তিক। আরসিবির জার্সিতে কার্তিকের শেষ আইপিএল ম্যাচের পারফর্ম্যান্স গড়পড়তা বলা যায়।
আইপিএল খেলতে বিসিবির কাছে এখনও এনওসি চাননি মুস্তাফিজ
৩ ঘন্টা আগে
যদিও এবারের আইপিএলে কার্তিকের সার্বিক পারফর্ম্যান্স দারুণ। তিনি ১৫ ম্যাচের ১৩টি ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩২৬ রান সংগ্রহ করেন। দুটি হাফ-সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৮৩ রানের। এই বছর ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেন কার্তিক। ২৭টি চারের সঙ্গে মারেন ২২টি ছক্কা।
১৭ বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারে ২৫৭ ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। ২২টি হাফ সেঞ্চুরিতে চার হাজার ৮৪২ রান এসেছে তার ব্যাটে। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমান দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে আইপিএলে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
এরপর ২০১১ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস) হয়ে আইপিএলে নাম লেখান তিনি। তারপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট লায়ন্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং শেষে বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল খেলেন তিনি।
এদিকে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করল রাজস্থান। রবিবার চেন্নাইয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ফাইনালে জায়গা পেতে শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হবে ২০০৮ সালের শিরোপাজয়ী রাজস্থান।