বিশেষ কিছু না করা কারানকে রিটেইন করায় অবাক চোপড়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কারান পরিবারের অপেক্ষা ফুরানো সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিলামে বাজিমাত করেছিলেন স্যাম কারান। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। তবে সবশেষ আইপিএলে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ছন্দে নেই বর্তমান সময়েও। তবুও তাকে রিটেইন করায় অবাক আকাশ চোপড়া।
সবশেষ আইপিএলে পাঞ্জাবের হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ৪৮.৯০ গড়ে মাত্র ১০ উইকেট নিয়েছিলেন কারান। যেখানে বাঁহাতি এই পেসারের ইকনোমি রেট ছিল ১০.২২। ব্যাট হাতে অবশ্য রান পেয়েছিলেন কারান। তবে সমর্থক কিংবা পাঞ্জাবের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ১৩৫.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা কারানের ব্যাট থেকে এসেছিল ২৭৬। যেখানে পুরো মৌসুমে তার হাফ সেঞ্চুরি ছিল মাত্র একটি।

আইপিএল নিলামের আগে ক্রিকেটারদের ধরে রাখার এবং ছেড়ে দেয়ার সুযোগ থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সামনে। এমন পারফরম্যান্সের পরও কারানকে ছেড়ে দেয়নি পাঞ্জাব। তাতেই অবাক হয়েছেন আকাশ চোপড়া। জনপ্রিয় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক মনে করেন, নিলামে মাত্র তিনজন অলরাউন্ডার থাকায় এত দামে বিক্রি হয়েছিলেন কারান।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে চোপড়া বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। আপনি কেন স্যাম কারানকে রিটেইন করেছেন? একটা জায়গার জন্য তারা ১৮.৫০ কোটি রুপি খরচ করেছে। আমি এমনটা বলবো না যে সে নন-পারফর্মিং একজন কিন্তু সে খুবই চড়া দামের। সে ১৮.৫০ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছিল কারণ মিনি নিলামে মাত্র তিনজন অলরাউন্ডার ছিল।’
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই ব্যাটে-বলে ছন্দে নেই কারান। আইপিএলের মতো জাতীয় দলের হয়েও ভালো করতে পারেননি তিনি। চলমান সাউথ আফ্রিকার এসএ২০ লিগেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না তার। এমআই কেপটাউনের হয়ে ৪ ম্যাচে ৮.৪৮ ইকনোমি রেটে ৩ উইকেট নিয়েছেন। চোপড়া মনে করেন, অস্ট্রেলিয়াতে বড় বাউন্ডারি থাকায় ভালো করেছিলেন কারান। সবশেষ ১২-১৭ মাস যে তিনি ভালো করেননি সেটাও মনে করিয়েছেন ভারতের এই ক্রিকেট বিশ্লেষক।
চোপড়া বলেন, ‘যাই হোক, আপনি যদি তার সবশেষ আইপিএল, চলমান এসএ২০ অথবা গত বছরের পারফরম্যান্স দেখেন, গত ১২-১৭ মাসে সে বিশেষ কোনো পারফর্মই করতে পারেনি। সে ২০২২ বিশ্বকাপে ভালো খেলেছিল কারণ অস্ট্রেলিয়াতে দুই দিকের বাউন্ডারি বড় ছিল।’