পাকিস্তানকে ভারত বিশ্বকাপে পাঠানোর পক্ষে নন মিয়াঁদাদ

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শেষ টেস্টে পান্তের বদলি জগদীশান
১০ ঘন্টা আগে
সবশেষ এক যুগে দুবার ভারত সফর করেছে পাকিস্তান। যদিও একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অন্যটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। তবে এই সময়ের মাঝে একবারের জন্যও পাকিস্তানের মাটিতে দেখা যায়নি ভারতকে। সবশেষ ২০০৮ সালে পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিল ভারত।
কদিন আগে আরও একবার সুযোগ আসলেও সেটা লুফে নেয়নি তারা। বরং নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে এশিয়া কাপ খেলার জন্য পাকিস্তানে আসার ক্ষেত্রে নেতিবাচক তথ্য দেয় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। শেষ পর্যন্ত তাদের চাওয়াতেই শ্রীলঙ্কাতে রাখা হয়েছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের ম্যাচ।

এদিকে ঝুলে আছে পাকিস্তানের ভারত বিশ্বকাপ খেলার সিদ্ধান্ত। সরকারের সবুজ সংকেত না পেলে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাও দেখা যেতে পারে পাকিস্তানকে। জাভেদ মিয়াঁদাদ জানান, ভারতের এমন আচরণের পর তিনি সিদ্ধান্ত নেয়ার কেউ হলে পাকিস্তানকে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে পাঠাতেন না।
এ প্রসঙ্গে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘পাকিস্তান ২০১২ সালে ভারতে গিয়েছিল, এমনকি ২০১৬ সালেও তারা খেলতে গিয়েছিল। এখন ভারতের পালা পাকিস্তানে আসার। আমি যদি সিদ্ধান্ত নিতাম তাহলে আমি কখনই ভারতে কোনো ম্যাচ খেলতে যেতে দিতাম না। এমনকি বিশ্বকাপও নয়। আমরা তাদের সঙ্গে খেলতে প্রস্তুত কিন্তু তারা কখনই একই ম্যানারে জবাব দেয়নি।’
রাজনৈতিক বৈরিতা ক্রমশই বেড়ে যাওয়ার কারণে দেখা মেলে না ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের দ্বৈরথ দেখার জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় আইসিসি কিংবা এসিসির টুর্নামেন্টের দিকে। মিয়াঁদাদ মনে করেন, খেলাই কেবল ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে পারে।
মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আমি সবসময় বলি একজন কখনই প্রতিবেশি বেছে নিতে পারে না। তাই একে অপরের সাথে সহযোগিতা করে বেঁচে থাকা ভালো। আমি সবসময় বলেছি ক্রিকেট এমন একটি খেলা যা মানুষকে একে অপরের কাছে নিয়ে আসে এবং দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অভিযোগ দূর করতে পারে।’