ফিরে দেখা ২০১১ বিশ্বকাপ

ছবি: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১১ সালের আজকের এই দিনে প্রথমবারের মত আইসিসির কোন আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের সেই আসরে ইংলিশদের বিপক্ষে জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা জয় গুলোর মধ্যে অন্যতম বলাই যায়।
মাহমুদউল্লাহ, শফিউলের দৃঢ়তায় দুই উইকেটের সেই জয়কে খোদ আইসিসিও নিজেদের অফিসিয়াল পেইজে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা জিতলেও বিশ্বকাপ মঞ্চে জয়ের মাহাত্ম্য যে অনেক গুণ বেশি।
২০১১ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ। ভাল মন্দে মেশানো ফল। প্রথম খেলায় ভারতের বিরুদ্ধে বিশাল রান তাড়া করে জিততে না পারলেও আশা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়।

কিন্তু ঠিক এরপরের ম্যাচেই প্রত্যাশার চাপে ভেঙ্গে পড়তে হয় টাইগারদের। উইন্ডিজদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ৫৮ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল তারা। এরপরও আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্রগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকে তারা। সেদিন ২২৫ রানে ইংলিশদের আটকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতে দুই উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। ।
১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ যখন পরাজয়ের ক্ষণ গুনছিলো তখন অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ আর শফিউলের ৫৮ রানের জুটির উপর ভর করেই দুর্দান্ত এবং অবিশ্বাস্য একটি জয় পায় বাংলাদেশ।
শফিউল ২৪ রানে আর মাহমুদউল্লাহ ২১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। যদিও ম্যাচ সেরার পুরষ্কার যায় ৬০ রান করা ওপেনার ইমরুল কায়েসের হাতে। আর এই জয়ের পর থেকেই বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের চোখে চোখ রেখে লড়াই করার সাহস পেয়েছে।
সেই ইংল্যান্ডকেই হারিয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে ২-১ এ সিরিজ হারলেও ইংলিশদের তারা বুঝিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশ এখন আর অবহেলার পাত্র নয়।