অস্ট্রেলিয়াকে ছাড় দেয়নি বাংলাদেশও

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উপমহাদেশের কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আরব আমিরাতের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ফের আলোচনায় এসেছে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন দুর্দশা।
পরিসংখ্যানে ২০১২-২০১৭ সালে চোখ বুলালে দেখা যায় এই পাঁচ বছরে এশিয়ার মাটিতে পাঁচটি টেস্ট সিরিজের চারটিতেই পরাজিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। উপমহাদেশের স্পিনারদের সামনে বার বার হোঁচট খেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা।
২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের মাটিতে খেলতে এসেছিল অজিরা। ঐ সিরিজে ৮৩.৫ শতাংশ উইকেট স্পিনারদের দিয়েছিল তাঁরা। ২৫.৮৯ গড়ে রান তুলেছিল প্রতিটি উইকেটের বিনিময়ে। চার টেস্টের সেই সিরিজটি হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল দলটি।

এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে এসে ৭৭.৫ শতাংশ উইকেট পাকিস্তানি স্পিনারদের দিয়েছিল তাঁরা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুইটিতেই পরাজিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানরা।
২০১৬ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৯৩.৩ শতাংশ উইকেট সেই স্পিনারদেরই দিয়েছিল দলটি। যেটা গত পাঁচ বছরে স্পিনারদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি দূরবস্থা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের।
যে সিরিজে তাঁরা প্রতি উইকেট রান নিতে পেরেছিল মাত্র ১৯.৮৬ গড়ে। বলতে গেলে লঙ্কান স্পিনারদের কাছেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
২০১৬-১৭ মৌসুমে আবারও ভারত সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজে ভারতীয় স্পিনারদের ৭১.১ শতাংশ উইকেট বিলিয়েছিল অজি ব্যাটসম্যানরা। ২৬.৬৪ গড়ে রান তুলেছিল তাঁরা প্রতি উইকেটের বিপরীতে।
চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হলেও আগের তুলনায় কিছুটা সাফল্য পেয়েছিল তাঁরা। একটি ম্যাচ জয় এবং একটি ম্যাচ ড্র করতে সমর্থ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে এসেও স্পিনারদের কাছেই ধরা খায় অজিরা। সেই সিরিজে টাইগার স্পিনারদের ৮৪.৯ শতাংশ উইকেট দিয়েছিল অজি ব্যাটসম্যানরা। আর প্রতি উইকেটে তাঁরা গড়ে রান তুলেছে মাত্র ২৮.০৩।
এবার ২০১৮ সালে আবারও উপমহাদেশে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। আরব আমিরাতের মাঠে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের ছাড়া বিগত বছরের স্পিন দুর্দশা কাটাতে পারবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।