ম্যাচ জিতেই ক্লান্তি ঘুচেছে ইমরুলের

ছবি: ইমরুল কায়েস

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
খুলনা থেকে ঢাকা, তারপর দুবাই ,দুবাই থেকে আবুধাবি এবং ফিফটি! অবিশ্বাস্য ,অনবদ্য যাকে বলে। রবিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেন তাই করিয়ে দেখালেন ইমরুল কায়েস।
তাঁর দলে থাকার কোন কথা তো ছিলইনা, উপরন্তু এ বছর ওয়ানডে দলেই যায়গা মিলেনি ইমরুলের। কিন্তু তামিমের অনুপস্থিতিতে দলের ওপেনারদের যাচ্ছেতাই পারফর্মেন্সে হুট করেই দলে ডাক পড়ে তাঁর।
খেলছিলেন খুলনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত হাই পারফর্মেন্স দল এবং বাংলাদেশ 'এ' দলের সংমিশ্রনে আয়োজিত চারদিনের একটি ম্যাচে। সেখান থেকেই উড়াল দিয়েছেন আরব আমিরাতে। মরুর দেশে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই মাঠে নেমে পড়লেন।

দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা যখন একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন তখনি মাঠে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। নিজের একেবারে অপরিচিত জায়গায় ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানের হার না মানা চকচকে এক ইনিংস উপহার দেন তিনি ।
কিন্তু সেটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল ইমরুলের কাছে ? বলেছেন ইমরুল নিজেই, 'সত্যি কথা বলতে, আমার জন্য কাজটা আসলেই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেকেই অনেক কথা বলেছে। আমি খুলনায় চার দিনের ম্যাচ খেলছিলাম, সেখান থেকে যশোর আসলাম। তারপর ফ্লাইট ধরে এখানে এসেছি।
'কোন বিশ্রাম পাই নি। তবে দিন শেষে পারফর্ম করতে পেরেছি, এটার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ম্যাচ জিতেছি, তাই এখন ভাল লাগছে, ম্যাচ না জিতলে হয়তো ভাল লাগত না।'
গত রবিবার মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক আঙিনায় দেশের হয়ে তিনি খেলেছিলেন ৭০ টি একদিনের ম্যাচ। যেখানে তিনি ৬১ টি ম্যাচেই ওপেন করেছেন এবং নয়টি ইনিংসে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছেন।
কাল একেবারে ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে দাড় করিয়ে দেয়া হয় ৩১ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে। যা পাশ মার্ক নিয়েই নিজেকে নতুন করেন চিনিয়েছেন ইমরুল।
বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর ব্যাটের ধারে এখনও মরীচিকা বসে যায়নি। তবে নিজের কষ্ট আর পারফর্মেন্সের চেয়ে ইমরুলের তৃপ্তি দল জিততে পেরেছে বলেই।