আমরা যা পারিনি, মুস্তাফিজরা তা পেরেছেঃ মাহমুদুল্লাহ

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ ওভারের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই রানের হার। ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১ রানের হার, সেটাও শেষ ওভারে। এই টুর্নামেন্টগুলোতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পক্ষান্তরে দলকে জিতিয়েছে প্রতিপক্ষের বোলাররা। রবিবার এমনই একটা অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। যা মনে ধরেছে টাইগার ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের।
সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খ্যাত ম্যাচে শেষ ওভারে ৬ বল ৮ রানের লড়াইয়ে তিন রানের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে। স্বভাবতই অনুভূতিটা দারুণ সবার জন্য, ব্যতিক্রম হয়নি মাহমুদুল্লার ক্ষেত্রেও।

‘ম্যাচ জেতার অনুভূতি কখনো প্রকাশ করা যায় না। বাংলাদেশের পক্ষে যে কোন ফরম্যাটেই ম্যাচ জেতার অনুভূতি অসাধারণ। ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। যেটা ভালো লাগছে, আমরা অনেক সময় ৬ বলে ৯ রান কিংবা ৮ রান করতে পারি না। আজকে আমাদের বোলাররা এই কাজটা করে দেখিয়েছে,’ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ।
টসে জিতে ব্যাটিং নেয়া বাংলাদেশ প্রথমেই ছিল ধ্বংসস্তূপের কিনারে। সেখান থেকে দলকে ২৪৯ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ এবং ইমরুল। দু'জনে গড়েছিলেন ১২৮ রানের জুটি, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে মাহমুদুল্লাহ ম্যাচ জেতানোর কারিগর বললেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। নিদাহাসে আমরা শেষ ওভারে এর থেকে বড় টার্গেটেও ম্যাচ হেরেছিলাম। তাই অতীত বলছে, কাজটা কঠিন ছিল মুস্তাফিজের জন্য। কিন্তু নিজের দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন এই পেসার। তাইতো প্রথম ইনিংসে ম্যাচ ঘুরানো মাহমুদুল্লাহর নায়কও এই মুস্তাফিজ।
‘আমি বলবো মোস্তাফিজের শেষ ওভারটা (টার্নিং পয়েন্ট)। যদিও আমাদের জুটিটা (মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের ১২৮ রানের জুটি) গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তারপরও ৬ বলে ৮ রান ডিফেন্ড করাটা এতোটা সহজ নয়। যা করে দেখিয়েছে মোস্তাফিজ।’