খোলস ছেড়ে বের হলেন তামিম

ছবি:

কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কোচ সারোয়ার ইমরান বলেছিলেন, তামিমকে খোলস ছেড়ে বের হতে হবে। ওয়ানডেতে সে ভালো করেছে কিন্তু টি-টুয়েন্টিতে তাকে আরেকটু আক্রমণাত্মক হতে হবে।
আর কোচ সারোয়ার ইমরানের কথাটাই হয়তো শুনেছেন তিনি। সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে সাজঘরে ফিরেছেন ০ রান করে। তামিম ব্যর্থ হয়েছিলেন সেদিন, তাই টপ অর্ডারও দাঁড়াতে পারেনি। দিন শেষে হারতে হয়েছিল টাইগারদের।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেছেন তামিম এটা বললে ভুল হবে। কারণ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলে দেয়া তামিম এদিন খেলেছেন আক্রমণাত্মক ইনিংস। যা এখনকার তামিমের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং নয়।
১৬৮ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ বলে ৪ ছক্কা এবং ৬ চারের সাহায্যে বাঁহাতি এই ওপেনার করেছেন ৭৪ রান। তাকে সঙ্গ দেয়া সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ রান। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি পায় টাইগাররা।

উইন্ডিজরা হয়তো তামিমের প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন। ওয়ানডে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরির পর টি-টুয়েন্টিতে এই ইনিংস অবশ্যই বলছে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
আর হয়তো ক্যারিবিয়ানদের মাটিও তার পছন্দের। কারণ ১১ বছর আগে এই ক্যারিবিয়ানেই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নিজেকে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে চিনিয়েছিলেন তামিম ইকবাল খান।
আর এটা আবারও প্রমানিত হল, তামিমের ব্যাট থেকে রান আসলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। কারণ তামিম রান করলে হয়তো বাকিরা নির্ভার হয়ে খেলতে পারেন, যেমনটা আজ সাকিব করেছেন।
পাঁচ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই বাঁহাতি, শেষ ফিফটি ছিল নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস, কিন্তু সেখানে ৪৮ বল খরচ করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও আজকের ম্যাচে তামিমের স্ট্রাইক রেটই বলে দিচ্ছে যে পুরোপুরি খোলস থেকে বের হয়েই ব্যাটিং করেছেন তিনি। এবছর ১২ ইনিংসে তার স্ট্রাইক রেট ১২২ আর টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার স্ট্রাইক রেট ১১৬।