জিম্বাবুয়েকে নাগালেই রাখল লঙ্কানরা

ছবি:

সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিম্বাবুয়েকে নাগালে রাখা আবশ্যক ছিল লঙ্কানদের। মিরপুরের মাঠে লঙ্কান স্টার অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা ও বাকী বোলাররা সেটাই করে দেখালো। জিম্বাবুয়েকে ১৯৮ রানে অল আউট করে ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিল লঙ্কান বোলাররা।
আগে ব্যাট করে দুই ওপেনার মাসাকাদজা ও মিরের ব্যাটে ভালো সূচনার পরও সুবিধা নিতে পারেনি গ্রাহাম ক্রিমাররা। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে ভালো খেলার পর দশম ওভারে এসে মাসাকাদজাকে ফেরান ইনফর্ম থিসারা পেরেরা।
সেখানেই থামেন নি এই লঙ্কান অলরাউন্ডার। ২০ রানে মাসাকাদজাকে ফেরানোর পর নতুন ব্যাটসম্যান আরভিনকে মাতর ২ রানে সাজঘরে পাঠান তিনি। ওপেনার মিরে ২১ রান যোগ করে ফের থিসারার ফাঁদে পা দেন।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়েকে পথে ফেরাতে মাঠে নামেন রানের মধ্যে থাকা সিকান্দার রাজা। কিন্তু দলে ফেরা চায়নাম্যান সান্দাকানের স্পিনে পরাস্ত হন ৮ রান করা রাজা।

ইনিংসের ১৬তম ওভারেই চার উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ৭৩ রান। সেখান থেকে অভিজ্ঞ টেইলরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় জিম্বাবুয়ে। ওয়েলারের সাথে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন তিনি।
শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের মনোযোগহীনতা সুযোগ নিয়ে দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন টেইলর। তবে টেইলরকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি ওয়ালার। ২৯তম ওভারে ৩৫ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে সান্দাকানের শিকারে পরিনত হন তিনি।
ঠিক পরের ওভারে পিটার মুরের রান আউটে সম্পূর্ণ ব্যাকফুটে চলে যায় জিম্বাবুয়ে। ১ রান যোগ করে টেইলরের সাথে বোঝাপড়ার অভাবে রান আউট হন তিনি। নিয়মিত উইকেট পতনে রান থমকে যায় জিম্বাবুয়ের।
অধিনায়ক ক্রিমারের সাথে জুটি গড়ে রান বাড়ানোর চেস্টা করেন টেইলর। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করে লঙ্কান ট্রাম্পকার্ড থিসারা পেরেরার বাউন্সারে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। ৮০ বলে ৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ইনিংসের ৩৮তম ওভারে সাজঘরে ফিরে যান অভিজ্ঞ টেইলর।
টেইলরের বিদায়ে বেশিদূর যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ছয় ওভার বাকী থাকলেও জিম্বাবুয়েকে অল আউট করে লঙ্কান বোলাররা। অধিনায়ক ক্রিমার ৩৪ রানের স্কোর জিম্বাবুয়েকে ১৯৮ রানে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। লঙ্কানদের হয়ে দিনের সেরা বোলার ছিলেন থিসারা পেরেরা, চার উইকেট শিকার করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলেমন মিরে, ক্রেইগ এর্ভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, ম্যালকম ওয়ালার, পিটার মুর, গ্রাহাম ক্রিমার, কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারা, ব্লসিং মুসারাবানি।
শ্রীলঙ্কা: কুশল পেরেরা, উপল থারাঙ্গা, কুসাল মেন্ডিস, নিরশান ডিকওয়েলা (উইকেটরক্ষক), দিনেশ চান্দিমাল (অধিনায়ক), আসেলা গুনারাত্না, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, সুরঙ্গা লাকমল, লাক্সমান সান্দাকান, নুয়ান প্রদীপ।