ওয়ানডেতেও ধবলধোলাই উইন্ডিজরা

ছবি:

ক্রাইস্টচার্চে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৬৬ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। আর এই জয়ে টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইট ওয়াশ করলো কিউইরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই দলপতি টম ল্যাথাম। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি কিউইদের। স্কোরবোর্ডে ২৬ রান যোগ করতেই দুই ওপেনার জর্জ ওয়াকার এবং কলিন মুনরোর পাশাপাশি তিন নম্বরে নামা নিল ব্রুমের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
এরপর কিউইদের সেখান থেকে টেনে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর এবং অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এই দুজন মিলে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের দেখে শুনে খেলে দলের পক্ষে রান তুলতে থাকেন।
কিন্তু ম্যাচের ১৯তম ওভারে বৃষ্টি হানা দিলে ৩ উইকেটে ৮৩ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির পর ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ২৩ ওভারে নিয়ে আসেন আম্পায়াররা।

বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমে টম ল্যাথামের উইকেটটি হারালেও রস টেইলরের অপরাজিত ৪৭ এবং হেনরি নিকোলসের ১৮ রানের উপর করে ২৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩১ রান স্কোরবোর্ডে তোলে কিউইরা।
উইন্ডিজদের পক্ষে শেলডন কার্টরেল নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট। ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে সফরকারীদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৬৬ রান। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ করতেই উপরের সারির ৫ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান কিউই বোলাররা। ৯ রানে ৫ উইকেট হারালেও জেসন হোল্ডার এবং রোভমান পাওয়েল মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি তাদের। নির্ধারিত ২৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ক্যারিবিয়ানরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে অধিনায়ক হোল্ডারের ব্যাট থেকে।
কিউইদের হয়ে পেসার ট্রেন্ট বোল্ট এবং স্পিনার মিচেল স্যান্টনার নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়াও ম্যাট হেনরি শিকার করেন ২টি উইকেট।