৪২ ম্যাচে ১৭ জয়, তবুও বেতন বাড়ছে বাবর-রিজওয়ানদের

আন্তর্জাতিক
৪২ ম্যাচে ১৭ জয়, তবুও বেতন বাড়ছে বাবর-রিজওয়ানদের
পাকিস্তান দল, ফাইল ফটো
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
পাকিস্তান জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের বেতন ৩৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড অব গভর্নরস। ক্রিকেটারদের জন্য নতুন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৪৯ লাখ পাকিস্তানি রুপি।

নতুন অর্থবছরে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যাও বাড়ছে। আগে যেখানে ২৫ জন খেলোয়াড় চুক্তির আওতায় থাকতেন, এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩০ জনে। এতে শীর্ষ তারকাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন উদীয়মান ক্রিকেটারও এই চুক্তিতে ঢুকে পড়ার সুযোগ পাবেন।

তবে বাজেট বৃদ্ধির এই ধারা সব জায়গায় প্রযোজ্য হচ্ছে না। ঘরোয়া চুক্তির ক্ষেত্রে বরং বাজেট কমানো হয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। গত বছর যেখানে বাজেট ছিল ৬৮ কোটি ৪০ লাখ রুপি, এবার তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৪৫ কোটি রুপিতে। ঘরোয়া পর্যায়ের অনেক খেলোয়াড়ের জন্য এটা বড় ধাক্কা হয়ে আসতে পারে।

বেতন বৃদ্ধির এই ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে, যখন পারফরম্যান্সের দিক থেকে পাকিস্তান দল ভয়াবহ সময় পার করছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলটি গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের কাছে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারে।

গত ১২ মাসে পাকিস্তান সব মিলিয়ে তিন ফরম্যাটে ৪২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় এসেছে মাত্র ১৭টি ম্যাচে, হার ২৫টিতে। টেস্টে ৯ ম্যাচে ৬টি হার, ওয়ানডেতে ১৭ ম্যাচে ৯টি হার, আর টি-টোয়েন্টিতে ১৬ ম্যাচে ১০টি হার।

নারী ক্রিকেটেও কিছু পরিবর্তন আনছে পিসিবি। কেন্দ্রীয় চুক্তির নারী ক্রিকেটারের সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হচ্ছে। ঘরোয়া নারী ক্রিকেটেও সামান্য বাজেট বাড়ানো হয়েছে— ৪ শতাংশ। এতে নতুন বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ রুপি।

এ ছাড়া দেশের ১২টি প্রথম শ্রেণির মাঠের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে পিসিবি। এই মাঠগুলোর পিচ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ রুপি। বোর্ডের লক্ষ্য, ঘরোয়া অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে চলমান সংস্কার কাজেও বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবার এই তিন ভেন্যুর জন্য বরাদ্দ প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি রুপি, যেখানে আগের বছর এই খাতে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি রুপি।

আরো পড়ুন: বাবর আজম