মুলতান থেকে ত্রিদেশীয় সিরিজ সরাল পাকিস্তান
ছবি: কদিন আগে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সিরিজটি মুলতানে হওয়ার থাকলেও সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। মূলত লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামের প্রস্তুতির অগ্রগতি হওয়ায় চার ওয়ানডের পুরো সিরিজটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, ‘গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামের প্রস্তুতির অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে পিসিবি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজটি দুটি ভেন্যুতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিরিজে পাকিস্তানের পাশাপাশি সাউথ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড খেলবে। সিরিজটি মূলত মুলতানে হওয়ার কথা ছিল।’
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে অনেকদিন ধরেই লাহোর ও করাচির স্টেডিয়ামের সংস্কার করে আসছিল পিসিবি। চলতি মৌসুমে পাকিস্তানের সবশেষ সাত টেস্টের একটিও খেলা হয়নি গাদ্দাফি এবং ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করাচিতে একটি টেস্ট হওয়ার কথা থাকলেও সেটা মুলতানে সরিয়ে নেয় হয়। এমনকি চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্টও হবে মুলতানে।
৩০ বছর পর আইসিসির কোন টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা মাথায় রেখে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ৩৫ হাজার করা হয়েছে। দুটি ডিজিটাল রিপ্লে স্ক্রিনও বসানো হয়েছে। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের জন্য পুরোপুরি নতুন ড্রেসিং রুম তৈরি করা হয়েছে। প্রায় একই ধরনের সংস্কার করা হয়েছে করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামেও। রাওয়ালপিন্ডিতে অল্প কিছু কাজ করার কারণে সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করেছে পাকিস্তান।
পিসিবি জানিয়েছে, গাদ্দাফি স্টেডিয়াম জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হবে। সেই সঙ্গে সমর্থক এবং গণমাধ্যমের সবাইকে তারা আশ্বস্ত করেছে নির্ধারিত সময়ের আগে বা কাছাকাছি সময়ে সবধরনের প্রস্তুতি কাজ শেষ হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৫ ম্যাচের মাঝে ১০ কিংবা ১১টি ম্যাচ হবে লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের।
হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী, ভারত খেলবে এমন ম্যাচ এবং একটি সেমিফাইনাল হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। ভারত যদি ফাইনালে উঠতে পারে তাহলে সেই ম্যাচটিও হবে পাকিস্তানের বাইরে অর্থাৎ দুবাইয়ে। মূলত ভারত সরকার বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি না দেয়ায় এমন হাইব্রিড মডেলের সিদ্ধান্তে রাজী হয়েছে পিসিবি, বিসিসিআই এবং আইসিসি।