গেইল-ম্যাককালামদের পেছনেই রংপুরের ব্যয় ৭ কোটি!

ছবি:

ক্রিকেটের নিখাদ বিনোদনের সাথে অর্থের ঝনঝনানির দারুণ একটি যোগসাজশ তৈরি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। এর ফলে ক্রিকেটাররা যেমন আর্থিক ভাবে সচ্ছল হচ্ছেন, তেমনি জাঁকজমকপূর্ণ দল গড়ে বিনোদনের দারুণ মাধ্যম তৈরি করে দিচ্ছে দলগুলো।
প্রতিটি দলের পেছনে মালিকপক্ষের বিনিয়োগ নেহাত কম নয়। তবে সে তুলনায় দলগুলো কতটা লাভবান হচ্ছে, তা দেখার বিষয়। যদিও সেটি ভিন্ন আলোচনা। বিপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরে দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের সমাগম দেখা গেছে।
সমর্থকদের কৌতুহলি মন জানতে চাইতেই পারে তাদের প্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজির বিনিয়োগ কেমন? যদিও টাকা-পয়সার ব্যাপারটা নানা কারণে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি গোপন রাখার চেষ্টা করে; নির্দিষ্ট অঙ্ক বলা তাই কঠিন। তবে বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি সূত্রে জানা যায়, এবার বিপিএলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল ছিল রানার্সআপ ঢাকা ডায়নামাইটস।

সাকিব, আফ্রিদি, নারিনদের দলটির পেছনে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ। তারকাবহুল দলটির বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় হয়েছে বিদেশি খেলোয়াড় কিনতেই। বিনিয়োগে পিছিয়ে ছিল না চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সও।
দলটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যয় করেছে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। শুধু ক্রিস গেইল-ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পেছনেই তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা! দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানই শুরুর দিকে হতাশ করলেও সঠিক সময়ে জ্বলে উঠে শিরোপা জিতিয়ে ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন রংপুরকে!
বিপিএলের এবারের আসরে সবচেয়ে কম খরচে দল গড়েছিল চট্টগ্রাম ভাইকিংস। সৌম্য, মিসবাহদের দলের পেছনে ১০ কোটি টাকাও ব্যয় করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিপিএলের এই পঞ্চম আসরে অংশ নেওয়া সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকায় দল গড়েছে।
তবে, ক্রিকেটারদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়ায় সবার সেরা নবাগত দল সিলেট সিক্সার্স। শেষ চারে উঠতে ব্যর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি সবার আগে খেলোয়াড়দের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া, বিপিএলের এবারের আসরে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।