সেঞ্চুরি, ডিগবাজি ও ম্যাচ হারের পর জরিমানাও গুনলেন পান্ত

ছবি: সেঞ্চুরির পর ঋষভ পান্তের ডিগবাজি, ফাইল ফটো

বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে গত ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারায় পান্তকে ৩০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, একই মৌসুমে কোনো অধিনায়ক তৃতীয়বার মন্থর ওভার রেট নিয়ে শাস্তির মুখে পড়লে এ ধরনের বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়।
পান্তের সামর্থ্য নিয়ে কখনই সন্দেহ ছিল না: জহির
২৮ মে ২৫
শুধু অধিনায়কই নয়, লক্ষ্ণৌ দলের বাকি ক্রিকেটাররাও পড়েছেন শাস্তির আওতায়। একাদশে থাকা বাকি ১১ জন ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারয়ের জরিমানা হয়েছে ম্যাচ ফি'র ৫০ শতাংশ বা ১২ লাখ রুপি করে, পরিমাণে যেটি কম। এর আগে ৫ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল একই কারণে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন পান্ত।
এবার নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে অবশ্য রেহাই পাচ্ছেন পান্ত। আগের নিয়মে এক মৌসুমে তিনবার মন্থর ওভার রেটের শাস্তি পেলে অধিনায়ককে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হতো। সেই নিয়মে গত মৌসুমে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে চলতি আইপিএল থেকে এই নিয়মটি তুলে নেয়া হয়েছে।

মার্শের সেঞ্চুরিতে টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাটকে হারাল লক্ষ্ণৌ
২৩ মে ২৫
গতকালের ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে পান্ত ছিলেন দুর্দান্ত। ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ৬১ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দিল্লি তোলে ২২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ। কিন্তু ৩৩ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সেই লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতিয়ে দেন জিতেশ শর্মা। জয় নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু উঠে যায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুইয়ে।
শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেও পুরো মৌসুমে পান্ত ছিলেন ছন্দহীন। নিলামে ২৭ কোটি রুপিতে কেনা হয় তাকে, দেয়া হয় অধিনায়কত্ব। কিন্তু ব্যাট হাতে সে প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি তিনি। প্রথম ১২ ইনিংসে তার রান ছিল মাত্র ১৫১, গড় ১৩.১২ এবং স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৭.৯০।
শেষ ইনিংসে সেঞ্চুরির পর কিছুটা উন্নত হয় পরিসংখ্যান। দলের অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। ১৪ ম্যাচে ৬ জয় ও ৮ পরাজয়ে লিগ পর্ব শেষ করে দিল্লি, ১০ দলের মধ্যে অবস্থান করে সপ্তম স্থানে।