‘সুপার ফ্লপ রোহিতের অবসরের সময় হয়ে গেছে’

ছবি: বিসিসিআই

আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারের তালিকায় বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানের পরেই আছেন রোহিত। ২৬৩ ম্যাচের ২৫৮ ইনিংসে ২৯.৩০ গড় ও ১৩১.২৮ স্ট্রাইক রেটে ৬ হাজার ৭১০ রান করেছেন মুম্বাইকে পাঁচবার শিরোপা জেতা অধিনায়ক। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪৩ হাফ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ওপেনার অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএলেও ব্যাট হাতে হন্য হয়ে রান খুঁজছেন রোহিত।
আইসিসির শেষ তিন টুর্নামেন্ট খেলা ভারতীয় ক্রিকেটারদের সবার সম্মান প্রাপ্য: রোহিত
৩০ মার্চ ২৫
চলতি আইপিএলের মতো সবশেষ কয়েক বছরেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ২০২৪ সালে সেরা চারে ওঠার আগেই ছিটকে যাওয়া মুম্বাইয়ের হয়ে ৪১৭ রান অবশ্য করেছিলেন। মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জন্য প্রসিদ্ধ হলেও ধারাবাহিক রান তোলায় প্রায়শই পিছিয়ে পড়ছেন রোহিত। ১৮ বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারে ২০১৩ সালেই একমাত্র এক মৌসুমে ৫০০—এর বেশি রান করেছিলেন তিনি।
বাকি মৌসুমগুলোতে সাতবার করেছেন ৪০০—এর বেশি রান। ২০১৩ সালের পর থেকে অবশ্য ৪০০—এর বেশি রান করেছেন চারবার। বিপরীতি ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকা কোহলি, ডেভিড ওয়ার্নাররা ছিলেন ঢের এগিয়ে। রোহিত যেখানে একবারই কেবল ৫০০—এর বেশি রান করেছেন সেখানে ওয়ার্নার সেটি করেছেন ১৫ মৌসুমে সাতবার। ২০১৬ সালে আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারসেরা মৌসুমে করেছিলেন ৮৪৮ রান।

বাংলাদেশের জন্য ব্যাটার কুলদীপই যথেষ্ট ছিল: শেবাগ
২১ ফেব্রুয়ারি ২৫
কোহলির ক্ষেত্রে ১৮ মৌসুমে সাতবার ৫০০—এর বেশি রান করেছেন। ২০১৬ সালে এক মৌসুমেই করেছিলেন আইপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সবচেয়ে বশি ৯৭৩ রানের রেকর্ড। এ ছাড়া সবশেষ দুই মৌসুমের একটিতে ছয়শর বেশি অন্যটিতে পেরিয়ে গেছেন সাতশ। তাদের দুজনের বিবেচনায় তাই অনেকটা পিছিয়েই থাকবেন রোহিত। সবশেষ ১০ বছরের পরিসংখ্যান সামনে এনে শেবাগ জানান, পাওয়ার প্লেতে ঝুঁকি নিতে গিয়ে রোহিত নিজের লিগ্যাসি নষ্ট করছে।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে শেবাগ বলেন, ‘রোহিতের অবসরের সময় হয়ে গেছে এবং এর আগে তার এমন কিছু দেওয়া উচিত ভক্তদের, যা মনে রাখার মতো হয়, এমন কিছু যা মানুষকে ভাবায়, ‘তাকে এখন বাদ দিচ্ছে না কেন? যদি আপনি গত ১০ বছরে রোহিতের আইপিএলের পরিসংখ্যান দেখেন, তাহলে দেখবেন সে মাত্র একবারই ৪০০ রানের বেশি করেছে।’
‘অর্থাৎ সে সেই ধরনের খেলোয়াড় না যে ভাবে তাকে ৫০০ বা ৭০০ রান করতেই হবে। কিন্তু যদি রোহিত ভাবে, তাহলে হয়তো করতেও পারে। যখন সে ভারতের অধিনায়ক হয়, তখন বলেছিল সে এমন একজন খেলোয়াড় হতে চায় যে পাওয়ারপ্লেতে সুযোগ নেবে, ঝুঁকি নেবে, সব আত্মত্যাগ নিজে করতে চায়। কিন্তু সে এ বিষয়টা বিবেচনা করছে না, যখন নিজে পারফর্ম করছে না, তখন তার নিজের লিগ্যাসিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
আইপিএলের সবশেষ মৌসুমে হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে মুম্বাইয়ের নেতৃত্ব হারিয়েছেন রোহিত। মুম্বাইকে পাঁচবার শিরোপা জেতানো অধিনায়ককে সরিয়ে দেয়ায় সমর্থকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আইপিএলে রোহিতের ফর্ম যদি চলতে থাকে তাহলে ভিন্ন পথে হাঁটতে পারে মুম্বাই। যদিও একটা অংশের দাবি, এত দ্রুতই রোহিতের উপর আস্থা হারাবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।