রংপুরের পাঁচে পাঁচ, হেরেই চলেছে ঢাকা
ছবি: অ্যালেক্স হেলস (বামে) ও সাইফ হাসান (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি
শক্তিশালী রংপুরের সামনে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। ম্যাচ জিততে রংপুর খেলেছে ১৩.২ ওভার। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমির হামজার করা প্রথম ওভারে ১০ রান নিলেও পরের কয়েক ওভার বেশ রয়েসয়ে খেলেন রংপুরের দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস এবং আজিজুল হাকিম। চতুর্থ ওভারে আজিজুলকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ। তার চতুর্থ স্টাম্পের বলে লফটেড ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৪ বলে পাঁচ রান করা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অধিনায়ক।
পরের দুই ওভারে একটু হাত খুলে খেলেন হেলস যার কারণে পাওয়ার প্লে'তে দলটি তোলে এক উইকেটে ৪৬ রান। দলের রান আরও বাড়াতে গিয়ে দলীয় ৬১ রানের মধ্যে ফিরে যান হেলসও। মোসাদ্দেক হোসেনের ওভারের স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন তিনি। দৌড়ে এসে বলটি ডিপে লুফে নেন সাব্বির রহমান। ২৭ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় আগের মাচের সেঞ্চুরিয়ান হেলসকে।
আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসানকেও বেশীক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি বাবু। প্রথম ওভারে ২০ রান দেয়া এই বোলার এই ওভারে ফেরান সাইফকে। তার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপে ক্যাচ তোলেন সাইফ। এ দিন ১৫ বলে ১৩ রান করেন সাইফ। ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় রংপুর।
এরপর আর কোনো বিপত্তি ঘটতে দেননি ইফতিখার আহমেদ এবং খুশদিল শাহ। ইফতিখার ১২ বলে ৯ এবং খুশদিল ১৩ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এর আগে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে।
শেখ মেহেদী লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে ইংলিশ রিক্রুট রয় করেন ১২ বলে ১৮ রান। শেষ দিকে ১৬ বলে ১৬ রান করেন আলাউদ্দিন বাবু। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান থিসারা পেরেরা এ দিন গোল্ডেন ডাক মারেন।
রংপুরের হয়ে বল হাতে ২১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন নাহিদ রানা। দুটি কর উইকেট নেন আকিফ জাভেদ এবং খুশদিল। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী, ইফতিখার এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা ক্যাপিটালস- ১১১/১০ (১৬.৩ ওভার) (রয় ১৮, তামিম ২০, বাবু ১৬; নাহিদ ৩/২১, জাভেদ ২/১৩)
রংপুর রাইডার্স- ১১৩/৩ (১৩.২ ওভার) (হেলস ৪৪, খুশদিল ২৭*; মোসাদ্দেক ১/১৩)