৭ উইকেটে তাসকিনের যত রেকর্ড
ছবি: ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিন আহমেদের উল্লাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি
বাংলাদেশের পেসারের অফ স্টাম্পের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে কোন রকমে ঠেকিয়ে দিয়ে এক রান নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ফলে সুযোগ থাকলেও বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয়ে উঠেনি তাসকিনের। তবে ঢাকার বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তিনি। মাত্র ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৭ উইকেট। বিপিএলে যা সেরা বোলিং ফিগার। কারণ বিপিএলে এবারই প্রথম কোন বোলার এক ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন।
এমন বোলিংয়ে তাসকিন পেছনে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ সামির মতো পেসারদের। ২০২০ সালে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আমির। সেবার খুলনা টাইগার্সের হয়ে ফাইনালও খেলেছিলেন পাকিস্তানের এই পেসার। বিপিএলের সেরা বোলিংয়ের তালিকায় এতদিন দুইয়ে ছিলেন সামি। তাকে নেমে যেতে হয়েছে তিনে।
২০১২ সালে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন দুর্দান্ত রাজশাহীর পেসার সামি। ফিরিয়েছিলেন আজহার মেহমুদ, কাইরন পোলার্ড, মোহাম্মদ আশরাফুল, এনামুল হক বিজয়ের মতো ব্যাটারদের। ঢাকার বিপক্ষে তাসকিনের ১৯ রানে ৭ উইকেট তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও। এর আগে ২০১৬ সালে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে প্রথমবার ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী পেসার।
বিপিএলের পাশাপাশি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা বোলিংয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তাসকিন। বাংলাদেশের এই পেসারের আগে স্বীকৃত ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে সিয়াজরুল ও অ্যাকারম্যানের। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে মাত্র ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল।
সেরা বোলিং ফিগারে তিনিই এখনও সবার উপরে আছেন। দুইয়ে আছেন নেদারল্যান্ডসের অ্যাকারম্যান। ২০১৯ সালে ভাইটালিটি ব্ল্যাস্ট টি-টোয়েন্টিতে বার্মিংহাম বিয়ার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন লেস্টারশয়ারের ডাচ স্পিনার। তাদের দুজনের পরই আছেন তাসকিন। রাজশাহীকে জেতানো বোলিং করে ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার।