বাংলাদেশে এমন গতিময় উইকেট আগে দেখেননি জিম্বাবুয়ের কোচ

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট

যদিও সাউথ আফ্রিকার ডাকে সাড়া দিয়ে চার মাস পরেই সেই চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি। সিলেটে এবার নতুন অভিজ্ঞতাই হয়েছে তার। সেখানে বাংলাদেশের চিরচেনা স্পিন বান্ধব উইকেট হয়নি। বরং সেখানে শুরু থেকেই সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। বাংলাদেশে এমন উইকেট দেখে অবাকই হয়েছে ল্যাঙ্গাভেল্ট।
শুধু ক্রিকেটারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই: সালাহউদ্দিন
৪ ঘন্টা আগে
সিলেটের উইকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিময় উইকেটের তকমা দিয়ে তিনি বলেছেন, 'সব মিলিয়ে আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে পেরেছি লম্বা সময়। উইকেটও ভালো ছিল। আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিময় উইকেট এটিই। সিলেটে আগে কখনও আসিনি। তবে খেলার এখনও অনেক বাকি আছে। আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।'

ল্যাঙ্গাভেল্ট চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে এসেছে অনেক পরিবর্তন। পুরোনো কোচিং স্টাফদের কেউই নেই। বোর্ডেও এসেছে বড় পরিবর্তন। এমনকি সেই সময় খেলা সিনিয়র ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই দলে নেই। তবে অনেককেই আবার চেনেন এই প্রোটিয়া কোচ।
তিনি বলেছেন, 'দলে অনেক পরিবর্তন দেখছি। আমি যাওয়ার পর নতুন অনেকেই এসেছে। কয়েকজনকে অবশ্য আমি চিনি। তবে দিনশেষে কৃতিত্ব বোলারদের। ওরা লম্বা সময় ধরে ঠিক জায়গায় বল রাখতে পেরেছে। টেকনিক্যালি আমরা বলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা কীভাবে খেলবে। তবে বোলারদেরকে তো কাজটা করতে হবে। আজকে তারা তা পেরেছে।'
প্রথম সেশনে অবশ্য দুই দলই ছিল সমঅবস্থানে। ২ উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ রান করে আউট হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিপর্যয়। এরপর বাংলাদেশ দুশ রানও করতে পারেননি। এর কৃতিত্ব নিজ দলের বোলারদেরই দিয়েছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট।
তিনি বলেন, 'জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য দিনটি ছিল দারুণ। প্রথম সেশনে বোলাররা একটু বেশি শর্ট বল করেছে, ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট খেলাতে পারেনি। দ্বিতীয় সেশনে স্পিনাররা এসেছে, নিয়াউচি ভালো বল করেছে, ভালো কিছু ওভার করেছি আমরা এবং শান্তর উইকেট ধরা দিয়েছে। এরপর ছোটখাটো একটা ধস নেমেছে ওদের ব্যাটিংয়ে। এরপর লেজটা মুড়িয়ে দিয়েছে স্পিনাররা।'